পরিপক্ব মানুষের ১০ গুণ

বয়স হলেই মানুষ বড় হয় তবে অনেকেই ‘পরিপক্ব’ হয়ে উঠতে পারেন না। পরিপক্ব বা ম্যাচিউরিটি একজন মানুষকে সমাজের আর দশজন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য, আকর্ষণীয় ও অনুসরণীয় করে তোলে। তাছাড়া অপরিপক্ব মানুষ সবার কাছে পাত্তা পান না। অনেক সময় অন্যের কাছে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার হয়।

একজন মানুষ কীভাবে ‘পরিপক্বতা’ অর্জন করবে তার কিছু উপায় আছে। আজ আমরা তেমন কয়েকটি উপায় নিয়ে কথা বলবো-

১. ছোট-বড় সব বয়সী বন্ধু, সহকর্মী কিংবা শত্রু যেই হোক না কেন, কারো কথার মাঝে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা বলতে শুরু করবেন না। একজন পরিপক্ব মানুষের প্রথম গুণ হলো অন্যের বলার সময় সে মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং অন্যের বলা শেষ হলে তবেই নিজে বলতে শুরু করবে।

২. যে মানুষটি সব সময় তর্ক করে তাকে এড়িয়ে চলা একজন মানুষকে পরিপক্ব হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। আপনি যদি জানেন ওই মানুষটি অহেতুক তর্ক করছে কিংবা জেতার জন্য তর্ক করছে তখন তার সঙ্গে তর্ক করা বন্ধ করে দিন। এটি আপনার পরিপক্বতার পরিচয় বহন করে।

৩. জনসম্মুখে কখনোই কারো সঙ্গে ফিসফিস বা কানাকানি করে কথা বলবেন না।

৪. একজন পরিপক্ব মানুষের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য হলো, সমালোচনা শুনে তিনি রেগে যান না, চটে যান না বরং শান্ত মাথায় তিনি ওই সমালোচনার যৌক্তিকতা বোঝার চেষ্টা করেন। 

৫. পরিপক্ব মানুষ ব্যর্থ হলে হতাশ হন না কিংবা ভেঙে পড়েন না। তিনি সবসময় নিজের ওপর বিশ্বাস রাখেন এবং ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আপ্রান চেষ্টা করতে থাকেন।

৬. পরিপক্ব মানুষ কখনোই বাহ্যিক রূপ, পোশাক, বর্ণ, আভিজাত্য, সম্পদ এসব দেখে সিদ্ধান্ত নেন না যে, মানুষটি ভালো না মন্দ! বরং কিছুটা সময় নেন এবং খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেন।

৭. সহজেই ভুল স্বীকার করে নেন এবং প্রয়োজনবোধে দুঃখ প্রকাশ করেন।

৮. পরিপক্ব মানুষ নিজের পক্ষে করা সম্ভব এমন দায়িত্ব নিতে ভয় পান না।

৯. কল্পনার জগত এবং বাস্তবতার সঙ্গে যারা পার্থক্য করতে পারেন না কিংবা কল্পনা এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে চলতে পারেন না তাদেরকে কোনোভাবেই পরিপক্ব মানুষ বলা যেতে পারে না।

১০. পরিপক্ব মানুষ কখনো আবেগের কাছে বিবেককে বিসর্জন দেন না। তিনি সব সময় ন্যায় এবং সত্যের ওপর অবিচল থাকেন।