৬৩ শতাংশ বেশি ঝুঁকিতে যারা

গেল ডিসেম্বরের শেষ প্রান্তে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাস ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর তা দেশটির সীমান্ত পেরিয়ে বিশ্বের অন্তত ১৬৫টি দেশে ছোবল দিয়েছে। অবশ্য তার আগেই চীনকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। দেশটিতে মৃত ও আক্রান্তদের সিংহভাগই এই উহানের বাসিন্দা।

চীনা গবেষকের দল

সে কারণে চীনা গবেষকরা উহানে একটি জরিপ পরিচালনা করেছেন। মৃত ২০৬ জনের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, ৮৫ জনের রক্তের গ্রুপ ছিল ‘এ’। অন্যদিকে, ৫২ জনের রক্তের গ্রুপ ছিল ‘ও’। ফলে গবেষকরা জানান, ‘এ’ গ্রুপের রোগীদের মৃতের হার ‘ও’ গ্রুপের রোগীদের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি।

তবে তারা এ সিদ্ধান্তে এখনও উপনীত হতে পারেননি যে, কেন বিভিন্ন গ্রুপের রক্তে ভাইরাসটির প্রভাবের তারতম্য রয়েছে। অবশ্য এ বিষয়টি নিয়েও তারা গবেষণা চালাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনা গবেষকরা উহান ও শেনজেনের ভাইরাস আক্রান্ত ২ হাজারের বেশি মানুষের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ওই গবেষণা পরিচালনা করেন।

গত ১১ মার্চ প্রকাশিত গবেষণাপত্রের ফলাফলে দেখা যায়, যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’তাদের আক্রান্তের হার যেমন বেশি তেমনি অন্যদের তুলনায় তাদের অবস্থাও গুরুতর ছিল।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেন উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ওয়াং জিংহুয়ান। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ’গ্রুপের রক্ত বহনকারীদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই তাদের প্রতি সতর্কতা ও নজরদারি বাড়াতে এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে অধিকতর যত্নের পরামর্শ দেন তিনি।

অন্যদিকে, যাদের রক্তের ‘ও’ তাদের সংক্রমণের সংখ্যা তুলনামূলক কম বলেও গবেষণার ফলাফলে জানা যায়।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৯৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে কমপক্ষে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জন। অন্যদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি।