প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এখন বিশ্বের ১৮৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দেশ ও অঞ্চলে ছড়াচ্ছে ভাইরাসটি। এর কোনো প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। ফলে সতর্কতাসহ অন্যান্য পদক্ষেপের ওপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

suggestion of unisef saving from covid 19

ইউনিসেফ বলছে, সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।

সংস্থাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, নিয়মিত হাত ধুয়ে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে এবং অন্যদের নিরাপদ রাখুন। হাঁচি-কাশি, টয়লেট ব্যবহার, অসুস্থদের যত্ন নেওয়া, খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে, খাওয়ার আগে, হাত ময়লা হলে এবং প্রাণী বা প্রাণীবর্জ্যের সংস্পর্শে আসার পর ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে।

কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?

সংস্থাটি বলছে, শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?

ইউনিসেফ বলছে, করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ট নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।

শিশুরা কি ঝুঁকিতে?

জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যেকোনো বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো মৃতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রধানত, আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

তবে শহরাঞ্চলের দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাবের মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা, যা সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ায় (বিশ্বের অনেক দেশেই) দেখা গেছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, ‘এই করোনাভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে- সে সম্পর্কে আমরা এখনও বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সাথে নেই।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইউনিসেফ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও সংস্থাটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওয়াল্ডোমিটারেরে সর্বশেষ তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে ১১ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭০৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৯১ হাজার ৯৫৪ জন।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.