করোনাভাইরাসের প্রধান উপসর্গ কোনটি

বলা হচ্ছে, অন্যসব ভাইরাস থেকে করোনাভাইরাসে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। কিন্তু সঠিক সময়ে সনাক্ত না হওয়ার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সবচেয়ে ভয়াবহ কথা হলো, অনেক সময়ই উপসর্গ দেখা দেয়া ছাড়াই মানব দেহে আক্রমণ করতে পারে মরণঘাতক এ ভাইরাসটি। অনেকেই আবার করোনাভাইরাসের উপসর্গকে সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। ফলে বাড়ছে জটিলতা।

ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের উপসর্গ খুবই গাঢ়। এতে করে রোগী সহজেই বুঝতে পারেন তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আরেক ধরনের উপসর্গ আছে, যা খুবই সূক্ষ্ম। পরীক্ষা ছাড়া বোঝা মুশকিল। এক্ষেত্রে আগাম সতর্ক হওয়া কিংবা সঠিক পরিচর্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের রোগীই বেশি মারা যাচ্ছে।

আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাসের প্রধান উপসর্গগুলো কী-

১. করোনাভাইরাসের প্রধান উসর্গ হলো জ্বর। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্বর আসছে না, তবুও করোনা ভাইরাস ধরা পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই করোনা ভাইরাসের মূল লক্ষণ হিসেবে জ্বর পাওয়া গেছে। বাকি ১২ শতাংশ ক্ষেত্রে জ্বরের বদলে সর্দি-কাশি দেখা গেছে।

২. সর্দি হলে যদি অনবরত নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে, তাহলে ভয়ের কিছু নেই। যদি সর্দির ভাব দেখা যায়, আর সাথে গলা ব্যথা, গলা জ্বালা থাকে তাহলে ভয় পাওয়ার কারণ আছে। হাঁচি করোনার উপসর্গ হলেও সবসময় ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না।

৩. শুকনো কাশি মারাত্মক বিপদের লক্ষণ। বুকে কফ নেই, কিন্তু কাশি হচ্ছে, তাহলে এখনই সময় সাবধান হওয়ার। তবে দিনে এক দু’বার কাশি হওয়া স্বাভাবিক ধরে নিতে হবে। কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে এক মুহূর্তও দেরি করা চলবে না

৪. গলা-ব্যথা বা কাশির পরপরই জ্বর দেখা দিতে পারে। করোনাভাইরাস কখনো কখনো নিউমোনিয়ার দিকেও মোড় নিতে পারে। আবার ডাইরিয়াও এ রোগের উপসর্গ হয়ে দেখা দিচ্ছে সম্প্রতি। ডাইরিয়ার সঙ্গে যদি শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে বিপদের সম্ভবনা অনেক বেশি।