করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে অল্পবয়সীরা

অল্পবয়সী মানুষের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৫ থেকে ২৪ বছরের বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমেই এটি হয়েছে বলে সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো

ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, গত ৫ মাসে ১৫ থেকে ২৪ বছরের বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণের মাত্রা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এর আগেও বলেছি এবং এখনো বলছি, অল্পবয়সীরা অদৃশ্য না। তারাও সংকমিত হতে পারে। মারা যেতে পারে। ভাইরাসটি অন্য মানুষের কাছে ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হতে পারে তারা।

সংস্থাটির এক প্রতিবেদনা বলা হয়, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত ১৫ থেকে ২৪ বছরের মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ৫ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে এই হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।

করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক ছবি

স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বেশ কিছু রাষ্ট্র এবং এশিয়ার জাপান ও ভিয়েতনাম দাবি করছে, নতুনভাবে আক্রান্তদের মধ্যে অল্পবয়সীদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতই।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স হাসপাতালের নার্স ম্যানেজার নেইসা এরনাসত বলেন, অল্পবয়সীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মানসিকতা কম। তারা রাস্তায় মাস্ক পরেও কম হাটে। ভাইরাসটির ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ করা গেছে। যা মোটেও ইতিবাচক কিছু নয়।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বৃদ্ধদের তুলনায় অল্পবয়সীরা ঘর থেকে বেশি বের হচ্ছে। ট্যুর, পার্টি, ক্লাবগুলোতে তাদের অবাধে যাতায়াত শুরু হয়েছে। যার কারণেই তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।