করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরও ‘সংক্রমণ রোধে সক্ষম’ একটি মৌখিক অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ফাইজার। এটি সফল হলে হাসপাতালের ওপর থেকে চাপ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। ওষুধটির নাম রাখা হয়েছে- PF-07321332।
করোনা প্রতিরোধ, প্রতীকী ছবি
ফাইজার জানায়, একই বাড়িতে বসবাস করা প্রাপ্তবয়স্ক ২ হাজার ৬৬০ জন সুস্থ মানুষের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। তাদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে বাকিদের সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধটি সক্ষম কিনা, সেটি দেখা হবে। তাদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা শেষ ধাপে রয়েছে।
এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ‘রিটোনাভি’র অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সঙ্গে মিলে চলছে নতুন এই পিলের ট্রায়াল। পরীক্ষায় এক তৃতীয়াংশ রোগীকে একটি প্লেসবো এবং বাকিদের দিনে দুই বার ৫-১০ দিনের ওষুধের ডোজ দেয়া হবে।
ফাইজার পিল, ফাইল ছবি
এর আগে পিলটির প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার। সে অনুযায়ী, এটি ‘নিরাপদ এবং রোগীদের শরীর সাড়া দিচ্ছে’ বলে দাবি করা হয়েছে। ওরাল এই পিলের শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হলে চিকিৎসার অনেক বাধা দূর করা এবং হাসপাতালের ওপর থেকে চাপ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে অনেকগুলো কার্যকর ও নিরাপদ টিকা এসেছে বাজারে। তবে সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে রয়েছে মাত্র কয়েকটি ওষুধ। এর মধ্যে কয়েকটি বেশ ব্যয়বহুল, হাসপাতালে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ফাইজারের ওরাল পিলটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিতে পারে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে ফাইজারের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক মিকায়েল ডলস্টেন বলছেন, করোনা মোকাবেলায় টিকার পরিপূরক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োজন। আমাদের মৌখিক থেরাপি পরীক্ষাটি সফল হলে মহামারির গতি দ্রুত থামিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
সূত্র: ফোর্বস