ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট কতটা উদ্বেগের, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

করোনার ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে দেশে দেশে, যা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই ভ্যারিয়েন্টটি ডালপালা মেলেছে। এটির একাধিক সাব-ভ্যারিয়েন্ট কমপক্ষে ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। ফলে নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডাব্লিউএইচও।

ওমিক্রন ও ডাব্লিউএইচও

সিএনএন জানায়, ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে একটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, নাম বিএ.২। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৯টি দেশে শনাক্ত হলেও ডেনমার্কসহ কিছু দেশে এটি ওমিক্রনের চেয়েও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ল্যাব পরীক্ষায় ভ্যারিয়েন্টটির স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য বহন করে না, স্বীকৃত নয় এস-জিন হিসেবেও।

‘স্টেলথ ভ্যারিয়েন্ট’ খ্যাত এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে মতামত দিয়েছেন মার্কিন বিশিষ্ট স্বাস্থ্য বিশেসজ্ঞরা। প্রশ্ন রাখা হয়- টিকা নেওয়া বা করোনা থেকে সেরে উঠা ব্যক্তিদের এটি সুরক্ষা দিতে সক্ষম কি না? জবাবে বিশেষজ্ঞ ডা. লিয়ানা ওয়েন বলেন, এ ব্যাপারে চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই।

করোনা পরীক্ষা, ফাইল ছবি

তবে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত এবং নতুন তথ্য পেলে তা পর্যবেক্ষণ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিএ.২ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, বিএ.১-কে পেছনে ফেলার বিষয়টি জানা গেছে। কিছু স্থানে সাব ভ্যারিয়েন্টটির কারণে সংক্রমণ অনেক বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এটি ওমিক্রনের চেয়ে বেশি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করার মতো প্রমাণ মেলেনি এখনো। ডেল্টার মতো পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় হালকা জটিলতা সৃষ্টি করে এটি, বলছেন বিশেষজ্ঞ ডা. লিয়ানা ওয়েন।

গত বছরের ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় B.1.1.529 নামে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়। এটি টিকা অকার্যকর করতে সক্ষম এবং অনেক বেশি সংক্রমক বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন ঠেকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব।

গত এক মাসে পরীক্ষা করা নমুনায় দেখা যায়, সংক্রমিতদের ৯৩ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। এর মধ্যে একাধিক সাব-ভ্যারিয়েন্টও রয়েছে। যেমন- বিএ.১, বিএ১.১, বিএ.২ ও বিএ.৩। তার মধ্যে আবার ৯৬ শতাংশই বিএ.১ ও বিএ১.১ সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটির করোনা সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরকোভে বলছেন, ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে তথ্য মিলেছে খুব কম। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, বিএ.১ থেকে বিএ.২ -এর সংক্রমণহার তুলনামূলক বেশি। ওমিক্রণের চেয়ে এসব সাব-ভ্যারিয়েন্টে পরিবর্তন এসেছে কি না, তা জানা যায়নি।