আপনি পড়ছেন

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা, লাঞ্ছনা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

rojina islam 1

আজ মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রোজিনা ইসলাম আক্রান্তের কারণ খতিয়ে দেখা, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের কর্মকাণ্ড তদন্ত করা হোক।

বিবৃতিদাতারা হলেন- সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা রাখবে আশা করে তারা বলেন, সরকারের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এদিকে, রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার পর গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন আজ মঙ্গলবার বয়কট করেছে সাংবাদিকরা। ​বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

health ministry briefing boycotts journalists 1

পরে দুপুরে ‘হেলথ মিডিয়া সেল বিডি’ অনলাইন পেজ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা প্রেস ব্রিফিংও বয়কট করেছে বিএসআরএফ। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সংগঠনটির একজন সদস্য।

অন্যদিকে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার পুলিশি আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

এর আগে আজ বেলা ১১টার পর রোজিনাকে সিএমএম আদালতে তোলা হয়। তার আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয় এবং শুনানির আগ পর্যন্ত তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

rojina islam

প্রসঙ্গত, সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। সেখানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করেন। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা ও তথ্য চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়। ৩৭৯, ৪১১ এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর ৩/৫- এই তিনটি ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।