নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধে বিড়ম্বনা?

নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ অত্যন্ত বিব্রতকর। এ নিয়ে হরহামেশা অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়েন। এ সমস্যার অন্যতম কারণ মুখের জীবাণু। শুষ্ক মুখ, অপরিষ্কার দাঁত, দাঁতের রোগ, ধূমপান, দুর্গন্ধযুক্ত খাবার, নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ার কারণেও অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ হয়। হজমের সমস্যা থাকলে মুখে দুর্গন্ধ তুলনামূলক বেশি হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলেও এ সমস্যা বাড়ে।

বিরক্তিকর এই দুর্গন্ধ হতে মুক্তি পেতে নিয়মিত দাঁত এবং মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি। কিন্তু প্রাকৃতিক কিছু উপাদান আছে যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। নিঃশ্বাসের সজীবতা ফিরিয়ে আনতে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপাদানগুলো-

প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ হিসেবে লেবু খুব ভাল কাজ করে। দিনে দুইবার লেবু মিশ্রিত পানি দিয়ে কুলি করলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হবে। কারণ মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া লেবুতে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান দূর করে।

মাউথওয়াশ হিসেবে লেবু ছাড়াও পুদিনাপাতা চমৎকার কাজ করে। মুখের দুর্গন্ধে পুদিনা পাতা চিবিয়ে খান কিংবা মিন্ট ফ্লেভারের চুইংগাম সবসময় সঙ্গে রাখতে পারেন।

লবঙ্গতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের জীবাণু মেরে ফেলে এবং নিঃশ্বাসের সজীবতা ফিরিয়ে আনে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েকটি লবঙ্গ চিবিয়ে খান। চাইলে লবঙ্গ গ্রিন টিতে দিয়েও খেতে পারেন।

আপেল খেলে মুখে প্রচুর স্যালাইভা তৈরি হয় যা মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া লালার সাথে পরিষ্কার করে দেয়। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

নিমিষেই নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে কয়েকটি এলাচ দানা চিবিয়ে খেতে পারেন। চায়ের সঙ্গে কয়েকটি মৌরি অথবা চিবিয়ে খেলে প্রাকৃতিকভাবে নিঃশ্বাস সজীব হবে।

নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন সহজ একটি প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ। আধ চা চামচ বেকিং সোডা, এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে দ্রবণটি মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন।

ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতায় সুগন্ধী পদার্থ রয়েছে যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়ক। ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতা মুখের সালফার উপাদান ধ্বংস করে নিঃশ্বাসকে সজীব করে তোলে।

কিছু খাবারে যেমন, রসুন, পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই এগুলো কখনোই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে রাতের বেলা। যে খাবারে এ্যাসিডিটির ভাব হয় সে খাবারগুলো সর্তকতার সঙ্গে খান। খাওয়ার পর প্রচুর পানি পান করুন।