প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে ১১ জন, এগিয়ে লিজ ট্রাস

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর মাধ্যমে তিনি বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে যুক্ত হলেন। ট্যাক্স নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই তিনি এই প্রতিযোগিতায় নিজের নাম ঘোষণা করলেন। এ নিয়ে ১১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা জানান দিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

লিজ ট্রাস

৪৬ বছর বয়সী লিজ ট্রাস গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তার প্রার্থিতা ঘোষণা করে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান কোথায়, সে বিষয়ে একটি পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার।’ প্রধামন্ত্রীত্বের দৌড়ে অগ্রগামীদের মধ্যে একজন হিসেবে দেখা হচ্ছে লিজ ট্রাসকে।

বরিসের উত্তরাধিকারী হিসেবে জনপ্রিয়দের মধ্যে প্রথম দিকেই আছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনিই প্রথম বরিসের মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান। সুনাক এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদও প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। গত সপ্তাহে তাদের দুজনের পদত্যাগ বরিস জনসনের পতন তরান্বিত হয়েছিল।

৫৮ বছর বয়সী বরিস তার প্রধানমন্ত্রীত্বের তিন বছরে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দেশটির প্রস্থানে ভূমিকা রেখেছেন ও কোভিড মহামারি সময়ে বিধি লঙ্ঘন করে বিতর্কিত হয়েছেন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালে বরিস জনসনের কাছে হেরে ভোটে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই, যিনি গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর পদে নিয়োগ পেয়েছেন, তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপসও প্রধানমন্ত্রী হতে চান।

এছাড়া প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, সাবেক মন্ত্রী কেমি ব্যাডেনোচ এবং টোরি এমপি টম টুগেনধাত। রয়েছেন আরেক টোরি আইনপ্রণেতা রেহমান চিশতি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে জনপ্রিয় হলেও প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে তিনি নামবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।