খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাইডেনের ভার্চুয়াল সামিট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামীকাল বুধবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন। সফরে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বলা হচ্ছে, বাইডেন তার সফরে ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতের নেতাদের সাথে ফোরওয়ে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর জোর দেওয়া হবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জো বাইডেন

মধ্যপ্রাচ্য সফরে বাইডেন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে পড়া শস্যচালান ছাড় না করাতে পারলে আমেরিকা, ইউরোপসহ গোটা বিশ্ব আরও বড় সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এজন্য তিনি খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি জোর দেবেন সম্মেলনে।

তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শস্য চালান আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও পুতিন তা বারবার অস্বীকার করেছেন। রাশিয়ার বক্তব্য, কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোতে মাইন পেতে রেখেছে ইউক্রেন। এ কারণেই শস্যবাহী জাহাজ চালনা করা যাচ্ছে না।

জ্যাক সুলিভান

রাশিয়াকে শতশত ড্রোন দেবে ইরান: এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে শতশত ড্রোন সরবরাহ করবে ইরান- এমন আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর চলমান হামলায় ব্যবহারের জন্য অস্ত্র বহনে সক্ষম ড্রোনসহ শতশত মনুষ্যবিহীন আকাশযান সরবরাহ পেতে ইরানের দিকে ঝুঁকছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের এই আশঙ্কা এমন সময় এল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল এবং সৌদি আরব সফর করছেন। এই সফরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক নীতিগুলো আলোচনার মূল বিষয় হবে।

সুলিভান উল্লেখ করেছেন, ইরান চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগে সৌদি আরবে আক্রমণ করার জন্য ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অনুরূপ চালকবিহীন বিমান সরবরাহ করেছিল।

জ্যাক সুলিভান গতকাল সোমবার বলেছেন, ইরান ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে কোনো মনুষ্যবিহীন সিস্টেম সরবরাহ করেছে কি-না তা স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান এই মাসের মধ্যেই রাশিয়ান বাহিনীকে ড্রোন ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান সরকার শিগগির অস্ত্র-সক্ষম ইউএভিসহ রাশিয়াকে কয়েকশ ইউএভি সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সুলিভান বলছেন, এটি প্রমাণ করে, ইউক্রেনে রাশিয়া অপ্রতিরোধ্য বোমা হামলা চালাচ্ছে, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক দখলে সহায়তা করেছে। তবে যুদ্ধে রাশিয়ার নিজস্ব অস্ত্রেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

সুলিভান বলছেন, দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া থেকে শুরু করে লক্ষ্যবস্তুতে ছোট বোমা ফেলা, আর্টিলারি বাহিনী এবং স্থল সৈন্যদের ব্যবহারসহ ইউক্রেন যুদ্ধে উভয়পক্ষই ড্রোন ব্যবহার করছে। অস্ত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের কার্যকর প্রতিরক্ষা বজায় রাখতে এবং ইউক্রেনীয়দের অব্যাহত সহায়তা দিয়ে যাবে। ইউক্রেনকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার জন্য রাশিয়ার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে না।