দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিল উত্তর কোরিয়া

রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার ডিপিআর (দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক) দূতাবাস ইন্টারফ্যাক্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। এমইএইচআর নিউজ।

দোনেৎস্কে সংঘাতের পর আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন কর্মীরা

কূটনৈতিক মিশনে উল্লিখিত তথ্যে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ায় ডিপিআর রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে পিয়ংইয়ং ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়াও শিগগিরই এলপিআর (লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক) রাষ্ট্রদূতের সাথে আরও একটি বৈঠক আশা করা হচ্ছে।

এছাড়াও ডিপিআর এবং এলপিআর-এর স্বীকৃতি সংক্রান্ত একটি নোটও পিয়ংইয়ংয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নোটটি পাঠানো হয়েছে।

দোনেৎস্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে

ডিপিআর: ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডিপিআর ঘোষণা দেয়। এটি পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দুটি বিচ্ছিন্ন রাজ্যের একটি। অন্যটি লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলপিআর)। ২০১৪ সাল থেকে ডিপিআর বাহিনী দনবাস যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন পেয়েছে।

ডিপিআর এর বৃহত্তম শহর হলো দোনেৎস্ক। ডেনিস পুশিলিন ২০১৮ সাল থেকে অঞ্চল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউক্রেন ২০১৪ সালের মে মাসে ডিপিআর ও এনপিআর নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করে। ইউক্রেন রাশিয়ান সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে ‘ইউক্রেনের অস্থায়ীভাবে দখলকৃত অঞ্চল’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে।

এলপিআর: ২০১৪ সালের এপ্রিলে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা গঠিত হয় এলপিআর। এ অঞ্চলটি ঐতিহাসিক দনবাস অঞ্চলের মধ্যে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলকৃত অঞ্চল। লুহানস্ক হল এই অঞ্চলের বৃহত্তম শহর এবং এলপিআর এর রাজধানী হিসাবে কাজ করে। প্রজাতন্ত্রের জনসংখ্যা প্রায় ২.১ মিলিয়ন বা ২১ লাখ। বর্তমানে আরও বেশি হবে।

২০১৪ সালের ইউক্রেনীয় বিপ্লবের সময় ডিপিআর ও ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের সাথে এলপিআরও স্বাধীনতা লাভ করে। এলপিআর এবং ডিপিআর রাশিয়া থেকে মানবিক সহায়তা পায়। ন্যাটো এবং ইউক্রেনের মতে, ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে রাশিয়া বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দিয়েছিল।