রাশিয়ান তেলের মূল্যে লাগাম টানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবেলায় বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী (ট্রেজারি সেক্রেটারি) জ্যানেট ইয়েলেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রাশিয়ার তেল রপ্তানির মূল্যসীমা স্থির রাখতে বিশ্ব নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। আর এটা করতে পারলে বিশ্বে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। খবর আল আরাবিয়া।

জ্যানেট ইয়েলেন

২০টি ধনী ও শিল্প দেশের আর্থিক কর্মকর্তারা শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালিতে এক সম্মেলনে জড়ো হচ্ছেন। যেখানে মার্কিন অর্থমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন।

ইয়েলেন বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তেলের দাম ও জ্বালানি খরচ বেড়েছে। গত জুন মাসে মার্কিন ভোক্তামূল্যের বার্ষিক উল্লম্ফন ছিল ৯.১ শতাংশ, যার ফলে মূল্যস্ফীতি প্রায় অর্ধেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগ্রাসনের জবাবে ইতোমধ্যে রাশিয়ার ওপর অজস্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে কাবু করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ইয়েলেন বালিতে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ান তেলের মূল্যসীমা স্থিতাবস্থায় রাখাই হবে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ারের একটি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে গ্যাস পাম্প ও মুদি দোকানে চলছে চরম সংকট। আর তা মোকাবেলায় অবশ্যই রাশিয়ান তেলের দামে লাগাম টানতে হবে।

ইয়েলেন বলেন, এই জাতীয় পদক্ষেপ এমনভাবে নিতে হবে যাতে রাশিয়ান তেল উৎপাদনে প্রভাব না পড়ে। কেননা স্পষ্টত রাশিয়াকে উৎপাদন চালিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের উৎসাহ দিতে হবে, যাতে তারাও লাভবান হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চীন-ভারতের মতো দেশগুলো সম্প্রতি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে। রাশিয়া দেশ দুটির কাছে ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। আমরা এমন একটি ব্যতিক্রম প্রস্তাব করছি, যা রাশিয়াকে রপ্তানি করার অনুমতিও দেবে, আবার তারা লোকসানেও পড়বে না, বরং লাভে থাকবে।

ইয়েলেন বলেন, যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির ওপর। ফলে ইতোমধ্যেই অনেক দেশ ক্রমবর্ধমান ঋণ ও অন্যান্য সংকটের সঙ্গে লড়াই করছে। বালি সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হবে, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে পুনর্গঠনে চীন যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, সে ব্যাপারে ফলপ্রসু আলোচনা করা।