ইরান: যুক্তরাষ্ট্রকে চরম মূল্য দিতে হবে

ইরানের সামরিক বাহিনীর একজন সিনিয়র মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেখারচি ইরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমেরিকান কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে ‘সামরিক শক্তির ব্যবহার’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। মূলত পশ্চিম এশিয়াসহ এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এখন কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়েছে। আইআরএনএ নিউজ।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা

শেখারচি যুক্তি দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন জায়নবাদী ইসরায়েলের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছেন। তার যে কোনো অভিব্যক্তি ইরান তন্দ্রা কিংবা বিভ্রান্তি হিসেবে বিবেচনা করে। ১৯৭৯ সালে কি ঘটেছিল, তা আমেরিকান এবং ইহুদিবাদীদের স্মরণ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

ইরানি জেনারেল বলেন, ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পাই ডেন জয়, অপারেশন ঈগল ক্ল বা অপারেশন তাবাসে মার্কিন সৈন্যদের মৃত্যুর কথা তারা স্মরণ করতে পারে। এছাড়া ৮ বছরের আরোপিত যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা, আফগানিস্তান থেকে পলায়ন, পারস্য উপসাগরে সবচেয়ে উন্নত মার্কিন ড্রোন দখল, ইরাকে মার্কিন আল আসাদ বিমানঘাঁটির ধ্বংস, লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে ৩৩ দিনের যুদ্ধে ইহুদিবাদীদের পরাজয়সহ আরও ব্যর্থতা তাদের রয়েছে। ফিলিস্তিনি হামাসের বিরুদ্ধে ২২ দিনের যুদ্ধেও তারা নাকানি চুবানি খেয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরায়েলের উভয়ের ব্যর্থতা এবং কলঙ্কজনক অপারেশনগুলোর একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। আমেরিকান এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীত, কারণ তারা ভালো করেই জানে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করলেই তারা পাল্টা ব্যবস্থার শিকার হবে।

ইরানি সেনা কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে তাদের মিত্রদের দুধ খাওয়াতে এবং কিছু আঞ্চলিক রাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল লুট করার জন্য এই ধরনের হুমকিমূলক অভিব্যক্তি ব্যবহার করতে পারে। এর বেশি কিছু তারা করতে পারবে না। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তখন তাদের মাথা ঠিক থাকে না। তারা ভাঙা আধিপত্য ধরে রাখতে জায়নবাদী শাসনের ওপর ভর করে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চূড়ান্ত ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়।