বরিস: আর যাকেই সমর্থন করুন, ঋষি সুনাককে নয়

বরিস জনসনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের দখল নিতে ইঁদুর দৌড়ে অংশ নেন অন্তত এক ডজন প্রার্থী। পরে বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কয়েকজন ঝরে পড়েন। কনজারভেটিভ দলের নেতা হিসাবে এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি ধাপে ভোট হয়েছে তাতে দেখা গেছে, এ দৌড়ে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন বরিস জনসনের সাবেক সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক সময়ের বরিস জনসনকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেলেও বরিস জনসন নির্বাচনীয় প্রচারণায় তার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন। খবর এনডিটিভি।

ঋষি সুনাক

বরিস জনসনের কয়েক বছরের শাসনামলের বিতর্কের অভাব ছিল না। বেশিরভাগই ছিল প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রীক। সর্বশেষ এমন একটি কেলেঙ্কারিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পর দলে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় প্রথমে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এরপর যেন পদত্যাগের জোয়ার নামে। দুই-তিনদিনের মধ্যে অন্তত ৪০ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয় বরিসকে। আপাতত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালাচ্ছেন।

প্রথম যে দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন তাদের একজন ছিলেন ঋষি সুনাক। তার বিরুদ্ধেও অনেক সমালোচনা রয়েছে। এমনকি যেসব বিতর্কে বরিস জনসন সমালোচিত হয়েছেন, তার অনেকগুলোতে বরিসের পাশে ঋষি সুনাককেও দেখা গেছে। আবার তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও সমালোচনা রয়েছে। অবশ্য এতসব সমালোচনা পাশে ঠেলে আবারো ব্রিটেনকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান নিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে নেমেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি বেশ ভালো অবস্থানেই রয়েছেন।

বরিস জনসনের সাথে ঋষি সুনাক

এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও দলের ঘনিষ্ঠজনদের বরিস জনসন বার্তা দিচ্ছেন, আর যেই হোক না কেন, ঋষিকে যেন প্রধানমন্ত্রী বানানো না হয়। এর আগে অবশ্য জনসন বলেছিলেন, তিনি নিজে আর এ পদের জন্য প্রার্থী হবেন না। কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করবেন না বা প্রতিযোগিতায় প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করবেন না।

তবে ঋষির বদলে অন্য কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বা কাকে সমর্থনের কথা বলছেন- এমন কিছু জানা যায়নি তার পক্ষ থেকে। তবে বরিসের ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে বরিসের প্রথম পছন্দ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এছাড়া তার আমলের বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডান্টও রয়েছেন তার পছন্দের তালিকায়। তবে অপছন্দের তালিকায় সবার আগে রয়েছে ঋষি সুনাকের নাম।