অস্ত্র ও সমর্থন পেতে রাশিয়ার দুয়ারে মিয়ানমার জান্তা

গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করায় বিশ্বমঞ্চে মিয়ানমার যেমন একঘরে হয়ে পড়েছে, তেমনি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে রাশিয়াও অনেকটা কোণঠাসা। এমন পরিস্থিতিতে সমর্থন আদায় ও অস্ত্র কিনতে রাশিয়ায় গেছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। খবর আল জাজিরা।

জেনারেল মিন অং হ্লাইং

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেল হ্লাইং মস্কোতে অবস্থান করছেন। সামরিক সম্পর্ক জোরদার ও নিউক্লিয়ার জ্বালানি ইস্যুতে সাহায্য পাওয়ার আশায় তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তবে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিশ্চিত নয়।

এরইমধ্যে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিয়ানমার জেনারেল। দুই কর্মকর্তা বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে সামরিক প্রযুক্তিগত সহায়তা আদান-প্রদানে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন।

রাশিয়ার দুয়ারে মিয়ানমার জান্তা

সাম্প্রতিককালে রাশিয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের এক বড় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করার পর জান্তা সরকার রাশিয়ার দিকে একটু বেশিই ঝুঁকেছে। রাশিয়াও তাদের অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে।

জান্তা সরকার সেই অস্ত্র ব্যবহার করছে মিয়ানমারের জনগণের ওপর। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দমনে নির্বিচারে জনতার ওপর চালাচ্ছে গুলি। গত প্রায় দুই বছরে মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর হাতে ২ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী-আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করছে। মিয়ামারের মানবাধিকার সংস্থা প্রগ্রেসিভ ভয়েস এর চেয়ারপারসন খিন ওহমার বলেন, পুতিন সরকার মিয়ানমারের সামরিক জান্তার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তা করছে ও মদতদাতা হিসেবে কাজ করছে।