ইউক্রেন থেকে শস্য চালানে আজই চুক্তি হচ্ছে!

ইউক্রেন থেকে শস্যের চালান পুনরায় চালু করতে আজ শুক্রবার ইস্তাম্বুলে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, চুক্তি উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস ইস্তাম্বুলের ডলমাবাহসে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারাও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ড।

ইউক্রেন থেকে শস্য চালানে আজই চুক্তি হচ্ছে!

বিৃতিতে আরও বলা হয়, গুতেরেস এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন, যা ইউক্রেন থেকে লাখ লাখ ডলার মূল্যের শস্যের মজুত রপ্তানি করতে সহায়তা করবে। এসব খাদ্যশস্য মূলত সংঘাতের কারণে ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দরে আটকে আছে। এমন একটি পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটকে অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারে।

তুর্কি কর্মকর্তারা বলেছেন, পরিকল্পনায় কৃষ্ণসাগরের বন্দর থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যাওয়ার পর রুটের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। রপ্তানি শিপিংয়ের জন্য ইস্তাম্বুলে একটি সমন্বয় কেন্দ্র থাকবে। এতে জাতিসংঘ, তুরস্ক, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তুরস্কের ভূমিকা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি নিয়ে চুক্তি উপলক্ষ্যে মহাসচিব গুতেরেস ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন।

ফারহান হক বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য পণ্য এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার যাতে বিশ্বব্যাপী প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়, সেজন্য তিনি ইস্তাম্বুল ছুটে গেছেন। জাতিসংঘ একটি চুক্তি করতে চায়, যাতে ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান খাদ্য এবং সার বিশ্ব বাজারে পৌঁছতে পারে।

খবরে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার আক্রমণের কারণে শতশত টন ইউক্রেনীয় শস্য পাঁচমাস ধরে কৃষ্ণসাগরের বন্দরে আটকে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা অভিযোগ দিয়ে আসছে, রাশিয়া খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এই অভিযোগ রাশিয়া বরাবরই অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, খাদ্য সংকটের জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাই দায়ী।