আপনি পড়ছেন

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারলেন না সেই সিদ্দিক মিয়া। প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেতে গতকাল গণভবনে দিনভর অপেক্ষাও করেছিলেন নৌকা প্রেমি সিদ্দিক মিয়া। রাত ১০টা অবধি অপেক্ষা করার পর মলিন মুখেই ফিরতে হয়েছে তাকে। আজও কয়েক দফা ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন তিনি। শেষমেশ সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে। তার সাথেও দেখা করার কোন সুযোগ পাননি তিনি।

siddique mia

দলের প্রতি এক বুক ভালবাসা আর টান নিয়ে ঢাকায় এসে এক বুক কষ্ট নিয়েই তাকে বাড়ির দিকে বৈঠা ধরতে হল। কষ্ট, পরিশ্রম,ত্যাগ, আর চোখের কোনে গোপনে জমা হওয়া চোখের জল চোখেই শুকিয়ে তিনি আজ ফিরে গেছেনা। যাবার আগে ঢাকা বাসীর কাছে করে গেছেন নিষ্ফল আষ্ফালন-“ আমার থেকে আওয়ামী লীগকে কেউ বেশি ভালবাসে না।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে গত সোমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন তিনি। তৃণমূলকর্মী ‍সিদ্দিক মিয়া সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনে ঢোকার কার্ড পাননি। সম্মেলনে ঢুকতে না পরলেও কষ্ট মনে রাখেননি তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে প্যাডেল নৌকা চালিয়ে সবাইকে দেখাতে পেরেই তিনি ছিলেন উচ্ছ্বসিত।

প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেতে নেত্রকোনা থেকে নৌকা সদৃশ তিন চাকার ভ্যান চালিয়ে গত ১৭অক্টোবর বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছিলেন সিদ্দিক মিয়া। তিন চাকা বিশিষ্ট লোহা আর টিনের তৈরি নৌকাটি তৈরি করতে সিদ্দিক মিয়ার সময় লেগেছে প্রায় এক মাস। প্যাডেল চালিত ওই নৌকাটি তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। রিক্সা চালক সিদ্দিক মিয়া তার নৌকা বানানোর টাকা জমিয়েছেন মূলত রিক্সা চালিয়েই।

শখের, আবেগের আর ভালবাসার প্রতিক নৌকাকে প্যডেল চালিত গাড়িতে পরিণত করে গত ১৭ অক্টোবর সোমবার আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে যোগ দিতে রওনা দিয়েছিলেন সিদ্দিক মিয়া। ঢাকায় পৌঁছতে তার সময় লেগেছিল ৪দিন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে খোলা আকাশের নিচেই নোঙর করেছিলেন তার ভালবাসার নৌকাটিকে।

৬ ছেলে আর এক মেয়ের জনক সিদ্দিক মিয়া ঢাকায় একা আসেন নি। সাথে নিয়ে এসেছেন তার ছোট দুই ছেলেকে। নৌকার দুই মাথায় বৈঠা হাতে বসে ছিল প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া আশিক(৫) এবং ২য় শ্রেণি পড়ুয়া সাকিব(৭)। আশিক-সাকিব বাবার সাথে ঢাকায় আসতে পেরে বেশ খুশি। থাকার নিরাপদ জায়গা নেই, সময়মত খাবার নেই। তবুও তারা খুশি, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের প্রত্যাশায়।

সিদ্দক মিয়া গত ৫ দিন ধরে ঘুমান না। তার ছেলেরা সকালে ঘুম থেকে উঠলে তিনি এক বা দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন। গতরাতেও তিনি মাত্র এক ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন।

তৃনমূল কর্মী সিদ্দিক মিয়ার জন্ম ১৯৬০ সালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার পাইলাঠি গ্রামে। ১৯৭১ সালে সিদ্দিক মিয়ার দুর্ভাগ্যবশত সৌভাগ্য হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ পাওয়ার! সেসময় বঙ্গবন্ধু নেত্রকোনা সরকারি কলেজের মাঠে এক জনসমাবেশে গিয়েছিলেন বক্তৃতা দিতে। উৎসক মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখতে সিদ্দিক মিয়াও উঠে ছিলেন পাশের একটি ভবনে। মানুষের চাপে ভবন থেকে পড়ে যেয়ে আহত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর কথা শুনে পাগলের মত হয়ে গিয়েছিলেন সিদ্দিক। সময়ের সাথে সাথে সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রেমি সিদ্দিক মিয়ার নৌকার প্রিতিতে কোন ভাটা পড়ে নি। বিএনপি-জামাত জোটের শাসনামলে কোন ধরনের সাহায্যই পাননি এই হত দারিদ্র্য মানুষটি। রিক্সা চালিয়ে বর্তমানে থেমে থেমে চলছে তার সংসার। তার শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর আগে শেখ হাসিনার সাথে একবারের জন্য হলেও দেখা করবেন। তার সব আবেগ ভালবাসা উচ্ছ্বাসভরে উজার করবেন।​

আপনি আরো পড়তে পারেন

বাংলাদেশের নৌবহরে যোগ হচ্ছে ২টি সাবমেরিন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ নৌ মহড়া শুরু

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে, নাম ‘কায়ান্ট’

রিজভী: গণতন্ত্র আর নির্বাচনের ঠিকানা হবে গোরস্থান

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.