ইউক্রেন: রাশিয়ার পাসপোর্ট চাওয়া ফৌজদারি অপরাধের অন্তর্ভুক্ত

ইউক্রেনীয় নাগরিকদের জন্য রাশিয়ান নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করা একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অধিকৃত অঞ্চলগুলোর পুনঃএকত্রীকরণ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইরিনা ভেরেচুক গত শুক্রবার এক বার্তায় সবাইকে সতর্ক করে এই বার্তা দেন। খবর আরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার পাসপোর্ট

টেলিগ্রাম পোস্টে ইরিনা ভেরেচুক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগে একটি আন্তঃবিভাগীয় বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছিল। এখন আইনের খসড়া নিয়ে কাজ চলছে।

ভেরেচুক স্বীকার করেন, রাশিয়ান পাসপোর্ট প্রাপ্তির আইনি দিক, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি দীর্ঘ ও কঠিন আলোচনা হতে পারে। তবে এ কথা ভুলে যাওয়া যাবে না যে, লাল রাশিয়ান পাসপোর্টে প্রচুর ইউক্রেনীয় রক্ত রয়েছে। সামরিক, বেসামরিক, নারী ও শিশুদের সবার রক্তই আছে।

উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেচুক

ইরিনা ভেরেচুক দুদিন আগে ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, মস্কো পাসপোর্ট ও গণভোটকে ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও বেশি বিপজ্জনকভাবে ব্যবহার করছে। এসব অস্ত্র রাশিয়াকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিতে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ‘লাইভ ঢাল’ তৈরি করতে সক্ষম করে। তাই কিয়েভের উচিত ইউক্রেনের যেসব নাগরিক আগ্রাসী রাষ্ট্র থেকে নাগরিকত্ব চায় ও গণভোটে ভোট দেয়, তাদের বিষয়ে একটি স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থান নেওয়া।

গত ১১ জুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ডিক্রিতে সই করেন, যাতে সব ইউক্রেনিয়ানদের সহজেই রাশিয়ান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার দেওয়া হয়। এর আগে এটি শুধু দোনেৎস্ক ও লুহানস্কসহ রুশ অধিকৃত এলাকাগুলোর জন্য কার্যকর ছিল।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, মস্কোর এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর নিপীড়নের থেকে কোনো অংশেই কম কিছু নয়।