জার্মানিকে তুরস্ক: গ্রিসের উসকানি থেকে সতর্ক থাকুন

তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রিসের উসকানিমূলক আচরণ থেকে জার্মানিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সাথে বৈঠকে এই আহ্বান জানান। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কাভুসোগলু। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু

কাভুসোগ্লু বলেন, জার্মানিকে গ্রিস এবং গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসনের উস্কানি ও প্রচার থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বার্লিনকে পক্ষপাত ছাড়াই উভয় পক্ষের কথা শোনা উচিত। অথচ জার্মানি তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। এজিয়ান এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিষয়ে জার্মানির উচিত ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব রাখা।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানি যদি গ্রিসের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রাখে, তাহলে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। গ্রিস যা করছে, তা অগ্রহণযোগ্য। তারা শরণার্থীদের নৌকায় ছুরিকাঘাত করছে। শরণার্থীদের পোশাক কেড়ে নিয়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বছর উনিশজন অভিবাসী মারা গেছেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক

কাভুসোগ্লু বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ইউরোপীয়ান বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টেক্স এই পুশব্যাক এবং লঙ্ঘনের অংশীদার হয়ে উঠেছে। ইইউ পার্লামেন্ট এবং ইউরোপিয়ান অ্যান্টি ফ্রড অফিসসহ ইইউ-এর প্রতিষ্ঠানগুলো এটি শনাক্ত করেছে। আমরা আশা করি এসব অপরাধের তদন্ত করা হবে।

পূর্ব এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জের গ্রিক সামরিকীকরণের নিন্দা করেন কাভুসোগ্লু এবং এথেন্সের পাশে থাকার কারণে জার্মানিকে তিরস্কার করেন। তিনি বলেন, সাইপ্রাস দ্বীপ ইস্যুতে তুরস্ক ও গ্রিসের সমর্থন নিয়ে জার্মানি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। বিতর্কিত ইস্যুতে কারও প্রচারে বিশ্বাস করে তার পক্ষ নেওয়া সঠিক কাজ নয়। আমরা জার্মানির কাছ থেকে এটা আশা করি না। আমরা সবসময় জার্মানির প্রশংসা করেছি, কারণ তারা সৎ ছিল।

তুরস্কের শীর্ষ এই কূটনীতিক বলেন, গ্রিস ১৯২৩ সালের লুসান এবং ১৯৪৭ সালের প্যারিস শান্তি চুক্তি অনুসারে দ্বীপগুলোর দায়িত্ব পেয়েছিল এবং কিছু চুক্তি অনুসারে তারা দ্বীপগুলোতে অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে না। গ্রিস সেই চুক্তিগুলো লঙ্ঘন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য বলেই গ্রিসের পক্ষ নেওয়া ঠিক নয়।