রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি জেলেনস্কির

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। এখন পর্যন্ত সেটা থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং ইউক্রেনের কোনো কোনো অংশ যুদ্ধের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছেই। এ অবস্থায় রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণার জোর দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। খবর এনডিটিভি।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

গতকাল শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই দাবি জানান। এ সময় মস্কোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, এ পর্যন্ত রাশিয়ার জেলে বন্দিমৃত্যুর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এগুলো থেকে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে, সেখানে কী পরিমাণ সন্ত্রাস চলছে। ফলে রাশিয়া যে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র তাতে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ইউরোপের গন্তব্যে রাশিয়ার একটি গ্যাসলাইন

এ সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউরোপ যদি রাশিয়া থেকে গ্যাস ও তেল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ না করে, তাহলে পুতিনের হাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট টাকার জোগান থাকবে। ফলে যুদ্ধ চলতেই থাকবে।

ইউরোপ মস্কোর ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিলেও নিজেদের স্বার্থেই রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারছে না, অন্তত এখনই তা সম্ভব হচ্ছে না। বরং রাশিয়া উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিলে ইউরোপে তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে।

ইউক্রেন দাবি করছে, ইউরোপীয় দেশগুলো তেল-গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিক। তাহলেই রাশিয়া চাপে পড়বে। তবে পরিবর্তিত অবস্থায় রাশিয়াও তার তেল-গ্যাসের নতুন ক্রেতা খুঁজে নিয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জ্বালানি বিক্রি করে আগের চেয়ে বেশি অর্থ পকেটে পুরেছে পুতিনের দেশ। এ কারণে নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার যতটুকু ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা তো হয়ইনি, উল্টো বিপাকে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো।