বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার কথা স্বীকার করলেন পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, নব্বই দশকে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা একইরকম ছিল। এখন তাদের রপ্তানির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলারের ঘরে, আর পাকিস্তান সবখানে টাকার জন্য ধর্না দিচ্ছে। আজ শুক্রবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোও পাকিস্তানকে ঋণ না দিয়ে আইএমএফের পথ দেখিয়ে দিয়েছে বলে জানালেন মিফতাহ ইসমাইল
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, এটা কোনো মজার কথা নয়। আমাদেরকে পরিণতমনষ্ক ও সম্মানজনক জাতির মতো আচরণ করতে হবে। আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত ৯ দশমিক ২ শতাংশ। কোনো দেশ এভাবে চলতে পারে না।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবেলায় আগামী তিন মাস আমদানি নিয়ন্ত্রণ করবে পাকিস্তান। এই সময়ের মধ্যে আমরা নতুন কোনো পথ বের করব। আমি জানি আমদানি কমালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা ব্যাহত হবে। কিন্তু আমার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দরপতনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাকিস্তানে যে পরিমাণ ডলার আসছিল, তার চেয়ে বেশি দেশ থেকে বেরিয়ে পড়ছিল। এ কারণেই গত মাসে ডলারের বিপরীতে রুপির দ্রুত দরপতন হচ্ছিল।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, একজন ক্ষুদ্র দোকানিও এটা বুঝেন যে দৈনিক বিক্রি ৩০ হাজার রুপি হলে আর ক্রয়ের পরিমাণ ৮০ হাজার রুপি হলে সেক্ষেত্রে কেনাকাটা কমানো ছাড়া উপায় নেই। আমরাও একই কাজ করেছি। আমরা আমদানির পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলার থেকে ৪৯০ কোটি ডলারে নামিয়ে এনেছি। সব সমস্যাও মিটে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন চাপে ছিলাম তখন বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস কিনেছি। এখন আমাদের ৩০ দিনের ডিজেল ও পেট্রোল মজুত আছে। ছয় মাসের প্রয়োজনীয় ফার্নেস অয়েল আছে। জ্বালানি নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও দায় মেটানোর ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছি। এখন আগামী চার মাস আমদানি নিয়ন্ত্রণ করব।
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরে পাকিস্তানের আমদানি ব্যয় ছিল ৮ হাজার কোটি ডলার, আর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। চলতি হিসাবে এমন ঘাটতি নিয়ে কোনো দেশ স্থিতিশীল ও বড় হতে পারে না।
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, এটা সত্য যে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন ১০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল। কিন্তু আগামী বছরেই আমাদেরকে ঋণের কিস্তি বাবদ ২১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। এজন্য আমাদের আইএমএফের কাছে যেতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কাছেও যেতে হবে। এরপর এডিবি, তারপর একটি চীনা ব্যাংক।
তিনি বলেন, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাংক আমাদেরকে বলেছে, বিশ্বব্যাংক তোমাদের ঋণ দিলে আমরাও দেব। এমনকি বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোও আমাদেরকে খুব ভদ্রভাবে আইএমএফের কাছে যেতে বলছিল। কারণ কেউই ডুবন্ত নৌকার দিকে দাঁড়াতে চায় না।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.