ডিআর কঙ্গোয় ৪০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪০ জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং হাসপাতালের কর্মীরা মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সন্দেহভাজন বন্দুকধারীরা কয়েকটি গ্রামে বৃহস্পতি থেকে সোমবারের একের পর এক হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। রয়টার্স।

ডিআর কঙ্গো

হামলাকারীরা অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস-এর (এডিএফ) সদস্য। তারা প্রথমে উত্তর-কিভু প্রদেশের একদল গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে। গ্রামবাসীরা প্রতিবেশী ইটুরি প্রদেশে ২৫ আগস্ট ইতুরি নদীর কাছে আবাদি জমির সন্ধান করছিল। স্থানীয় গ্রুপ কনভেনশন ফর দ্য রেসপেক্ট অফ হিউম্যান রাইটসের (সিআরডিএইচ) সমন্বয়কারী ক্রিস্টোফ মুনিয়ান্ডারু বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এডিএফ যোদ্ধারা পাঁচটি গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড চালায়।

স্থানীয় একটি হাসপাতালের নার্স মাথে মুপান্ডা সলোমন বলেন, তিনি ২৬ জন গ্রামবাসীর মৃতদেহ দেখেছেন, যারা হামলায় নিহত হয়েছে। এছাড়া ৭৬ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। আশেপাশের বাবিলা-বাকাইকো এলাকার প্রধান চার্লস কিসুবি এন্ডুকাদি নিশ্চিত করেন, বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি গ্রামে আক্রমণ করেছে এবং বেশিরভাগ মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি।

কঙ্গোলিজ সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। সশস্ত্র গোষ্ঠী এডিএফ ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তারা উগান্ডা মিলিশিয়ার সাথে কঙ্গোর সম্পদ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত। বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রায়ই হামলা করে।

এডিএফের ক্রমবর্ধমান আক্রমণের কারণে কঙ্গো সরকার ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ইতুরি এবং উত্তর কিভুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গত জুন মাসে বলেছিলেন, সামরিক শাসনের অধীনে দেশটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।