আগস্টে সড়ক কেড়ে নিল ৫১৯ প্রাণ

গত আগস্ট মাসে সারাদেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫১৯ জন। আহত হয়েছেন আরও ৯৬১ জন। নিহতের মধ্যে ৬৪ নারী ও ৬৯ শিশু রয়েছে। আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সড়কে প্রাণহানির এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনা, ফাইল ছবি

এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, আগস্টে ঘটে যাওয়া এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৮৩টি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে নিহত হয়েছেন ১৭২ জন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও বেশ কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সংস্থাটি জানায়, দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশ। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারীর মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। চালহ-হেল্পার নিহত হয়েছেন ৯৪ জন। যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ।

আগস্টে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। রাজধানীসহ এ বিভাগে ১২৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নিহত হয়েছেন ১৪২ জন। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এতে ২৪ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম, ১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১ জন। জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৩২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৭ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে সুনামগঞ্জ, ঝালকাঠি ও মাগুরায়। এই ৩টি জেলায় ৭টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

সড়ক দুর্ঘটনায় গত জুলাই মাসে নিহত হয় ৭৩৯ জন। মাসের হিসেবে আগস্টে কিছুটা প্রাণহানি কমলেও তা সুনির্দিষ্টভাবে পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সূচক নয় বলে মনে করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সংস্থাটি জানায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পাশাপাশি দেশে অরক্ষিত রেলক্রসিং ও রেল ট্র্যাকে দুর্ঘটনা বেড়েছে। রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে চালকদের যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই দুর্ঘটনা বেড়েছে বহুলাংশে।

এজন্য গণপরিবহন সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও উন্নত করার মাধ্যমে যানজট কমিয়ে আনা এবং মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করা জরুরি বলে মত দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।