কারাওকে বারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ ভিয়েতনামের কারাওকে বারে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি সিঁড়ি ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেলে জরুরি প্রস্থানের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রাহক এবং বারের কর্মীদের  মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়। বুধবার একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপি।

দক্ষিণ ভিয়েতনামের কারাওকে বারে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে

অনেকেই আগুন থেকে বাঁচতে একটি বারান্দায় ভিড় করেছিলেন। কিন্তু কাঠের জিনিসপত্রে আগুন ধরে যাওয়ায় বিল্ডিং থেকে অনেকেই লাফ দিতে বাধ্য হয়। রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ছবিতে দেখা গেছে, বার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বারটি থুয়ান আন শহরের একটি জনাকীর্ণ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। বিন ডুয়ং প্রদেশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হো চি মিন সিটির উত্তরে। ক্রেনের সাহায্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন।

বিন ডুং-এর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তা মাই হুং ডুং এএফপিকে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩ এবং দগ্ধ হয়েছে ১১ জন।

এর আগে কর্তৃপক্ষ ১২ জন মারা যাওয়ার খবর দিয়েছিল। বিন ডুং কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগুনের প্রাথমিক কারণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট।

কারাওকে বারের কাছে বসবাসকারী প্রত্যক্ষদর্শী নগুয়েন সাং ভিএনএক্সপ্রেস নিউজকে বলেন, যখন ফায়ার ট্রাক ঘটনাস্থলে পৌঁছে তখন একজন অভ্যর্থনাকারী বলছিলেন, ভেতরে ৪০ জন লোক আটকে আছে। অনেক লোক মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে বাইরে দৌড় দেয়। তাপ সহ্য করতে পেরে অনেকে লাফ দিয়েছেন। এতে তাদের হাত ও পা ভেঙ্গে যায়।

এর আগে ২০১৮ সালের ভিয়েতনামের সবচেয়ে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড, হো চি মিন সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে ১৩ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে রাজধানী হ্যানয়ের একটি কারাওকে বারে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত মাসে হ্যানয়ের আরেকটি কারাওকে বারে আগুন নেভাতে গিয়ে তিনজন দমকলকর্মী মারা যান।

ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন বুধবার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান বিশেষ করে কারাওকে বারগুলোকে নতুন করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।