মার্কিন অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানে চীনা উপাদান

বর্তমান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের চাহিদা যেমন রয়েছে, এর কার্যকারিতাও ব্যাপক। এই যুদ্ধবিমানের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পেন্টাগন। স্টিলথ ফাইটার জেটের একটি যন্ত্রাংশ তৈরিতে চীনা উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে- এমন কথা জানতে পেরে নিরাপত্তার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। খবর সিএনএন ও আনাদোলু।

এফ-৩০ যুদ্ধবিমান

জানা গেছে, পঞ্চম-প্রজন্মের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত টারবোমেশিনের একটি পাম্পের চুম্বকে চীনের শংকর ধাতুর উপস্থিতি রয়েছে বলে সম্প্রতি জানতে পারে পেন্টাগন, যা ফেডারেল প্রতিরক্ষা আইনের লঙ্ঘন। বিমানের এই অংশটি এক অজ্ঞাত সাব-কন্ট্রাক্টর দ্বারা উৎপাদিত ও সরবরাহ করা হয়। যদিও এ ধাতুর উপস্থিতিতে নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র রাস গোয়েমার বলেন, আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি যে, ওই উপাদানের মাধ্যমে কোনো তথ্য বাইরে চলে যায়নি বা বিমানের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। এ কারণে বিমানের সুরক্ষা সম্পর্কিত কোনো ঝুঁকিও নেই। ফলে এফ-৩৫ ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে থাকবে।

পেন্টাগন

পেন্টাগন জানিয়েছে, বিষয়টি কীভাবে ঘটেছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে। তবে এ কারণে কতগুলো বিমান সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে কিংবা কতগুলো বিমানে ওই চীনা উপাদান যুক্ত করা হয়েছে সে তথ্য জানায়নি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমানগুলোর অন্যতম এই এফ-৩০ যুদ্ধবিমান। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়।

এ বছর এই মডেলের ১৫৩টি বিমান সরবরাহের কথা রয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮টি বিমান ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো আপাতত সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পেন্টাগন।

এফ-৩০ যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্দেহজনক চুম্বক পাওয়া গেলেও কোনো স্পর্শকাতর প্রোগ্রামের সাথে সেটির যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তারপরও এফ-৩৫ যেন নিরাপদ থাকে সেটি নিশ্চিত করে যত দ্রুত সম্ভব ডেলিভারি দেওয়ার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।