ব্লিংকেন কিয়েভে, ইউক্রেনকে আরও অর্থ ও অস্ত্র সাহায্যের ঘোষণা

ইউক্রেনসহ রাশিয়ার প্রতিবেশী ১৯টি দেশকে ২০০ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন আজ দুপুরে আকষ্মিক সফরে কিয়েভে গিয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন। পৃথক ঘোষণায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউক্রেনকে নতুন করে ৬৭৫ মিলিয়ন (৬৭ কোটি ৫০ লাখ) ডলারের অস্ত্র দেবে।

ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠকে লয়েড অস্টিন ও ওলেক্সি রেজনিকভ

লয়েড অস্টিন আজ জার্মানির রামস্টেইনে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমমনা দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও এ বৈঠকে যোগ দেন।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে পাশে বসিয়ে লয়েড অস্টিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নতুন করে দেওয়া ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার অস্ত্র সাহায্যের পাশাপাশি আরও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে কিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় এবং দেশটির অস্ত্র শিল্পকে কিভাবে ঢেলে সাজানো যায়, এ বৈঠকে আমরা সে সব বিষয়েও কথা বলব।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটি সূত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছে, নতুন অস্ত্র সাহায্যের আওতায় ইউক্রেনকে হাইমারস সিস্টেমের গোলাবারুদের চালান, সামরিক যান ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র দেওয়া হবে।

এদিকে একই সময়ে কিয়েভে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, জো বাইডেন প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদি সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেন ও তার প্রতিবেশী ১৮টি দেশকে ২০০ কোটি ডলারের জোগান দেবে। সহায়তাপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে ন্যাটোর সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির পক্ষভুক্ত দেশও রয়েছে, যারা ভবিষ্যতে রুশ আগ্রাসনের হুমকিতে রয়েছে।

এ নিয়ে বাইডেন আমলে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ হলো এক হাজার ৫২০ কোটি ডলার। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ আক্রমণের মুখে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিধা করবে না, এটা জানান দিতেই নতুন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন নিজেদের সর্বাধুনিক এক্স-ক্যালিবার মিসাইলের একটি চালান ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছে। নিজস্ব গাইডেন্স সিস্টেমের পাশাপাশি জিপিএস কোঅর্ডিনেশন কাজে লাগাতে সক্ষম এ মিসাইল প্রায় শতভাগ লক্ষ্যভেদী বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।

অ্যান্থনি ব্লিংকেনের ঘোষিত সামরিক সহায়তা প্রাপ্ত দেশের মধ্যে পোল্যান্ড রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মার্চিন ওচেপা গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আগামী ৩-১০ বছরের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য পোল্যান্ডকে প্রস্তুত হতে হবে।