আদালতের রায় মেনে নেবেন ইমরান, সাথে হুঁশিয়ারিও দিলেন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) দেওয়া যে কোনো রায় মেনে নেবেন। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলায় ব্যাপারে গতকাল শনিবার তিনি এ কথা বলেন। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করায় আইএইচসি গত বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেন ২২ সেপ্টেম্বর তারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে শুনানি করবেন। খবর জিও নিউজ।

ইমরান খান

গুজরানওয়ালায় একটি জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যে রায়ই দেবেন আমি তা মেনে নেব। এ সময় তিনি বিশেষ একটি সংস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা নিজেদের নিরপেক্ষ বললেও, বর্তমান সরকারের দ্বারা দেশ ধ্বংস হতে থাকলে জাতি আপনাদের দায়ী করবে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে এটি সরাসরি জাতীয় সুরক্ষাকে প্রভাবিত করবে। কারণ অর্থনীতির অবনতি হওয়ার সাথে সাথে পাকিস্তানকে অন্যান্য দেশের সামনে মাথা নত করতে হবে।

ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

বর্তমানের এই জোট সরকার কেবলই র্নিাচন থেকে পালাতে চায় উল্লেখ করে পিটিআই প্রধান মন্তব্য করেন, কিন্তু আমরা নির্বাচন চাই, আগাম নির্বাচন চাই। এ সময় তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনগণ রাস্তায় নামবে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলছেন, তিনি বন্যার্তদের জন্য দেওয়া তহবিল সততার সাথে ব্যয় করবেন। অথবা সবাই জানে আপনি ও আপনার ছেলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীন নেতারা জাতির টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠায়।

সমাবেশে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করে ইমরান খান বলেন, তার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছিল, কারণ তিনি কারও দ্বারা নির্দেশ পেতে প্রস্তুত ছিলেন না। তাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে এবং জাতির ওপর চোরদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।