জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বয়স্কদেরই প্রাধান্য

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এবারও বয়স্কদেরই প্রাধান্য দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮৮ বছরের নেতাও রয়েছেন। অন্তত ২৫ জন রয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব। এছাড়া মাত্র একজন নারী মনোনয়ন পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ

আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদ নির্বাচন। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদে এ নির্বাচন হবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হলেন উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

সাতক্ষীরা বাদে ৬০ জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এবার ৩১ জেলায় নতুন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর ২৯ জেলাতেই মনোনয়ন পেয়েছেন আগের চেয়ারম্যানরা।

মনোনয়নে তৃণমূলে দলের জনপ্রিয় প্রবীণ ও বঞ্চিত নেতাদের বিবেচনায় নিয়েছে আওয়ামীলীগ। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি অধিকাংশ নেতাই।

প্রার্থীদের বয়স পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ৬০ জেলায় মনোনয়নপ্রাপ্ত ৬০ প্রার্থীর গড় বয়স ৬৮ বছরের বেশি। এর মধ্যে সত্তরোর্ধ্ব রয়েছেন ২০ জন। ৮০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ৫ জন। ২৭ প্রার্থীর বয়স ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। মাত্র আটজন রয়েছেন ৬০ বছরের কম বয়সী।

বগুড়া জেলায় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। তার বয়স ৮৮ বছর। মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সী।

মুন্সিগঞ্জে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এই নেতার বয়স এখন ৮১ বছর। ২০১১ সাল থেকেই জেলা পরিষদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি।

নাটোরে আবার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান। তার বয়স ৮৩ বছর। এছাড়া মনোনয়নপ্রাপ্ত জয়পুরহাটের খাজা সামছুল আলমের বয়স ৮৫ বছর। নওগাঁর এ কে এম ফজলে রাব্বির বয়স ৮৪ বছর।

সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেটের নাসির উদ্দিন খান। তারও বয়স ৫৩। অন্যদিকে ৬০ জেলার মধ্যে একমাত্র পিরোজপুরে মনোনয়ন পেয়েছেন নারী প্রার্থী। মনোনীত সালমা রহমান পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্তর জেলা পরিষদ। জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম, রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ-রক্ষণাবেক্ষণসহ ১২ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে জেলা পরিষদ। এসব কাজের জন্য জেলা পরিষদগুলোর বরাদ্দও অনেক। বয়স্ক চেয়ারম্যানদের পক্ষে সেসব কাজের চাপ সামলানো অনেকটা কঠিন হবে।