রানীর হাসিমুখ ভুলবেন না ক্যামিলা

ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ নিথর দেহে শুয়ে আছেন কফিনে। তবে রানীর হাসিমুখ ভুলতে পারছেন না তারই পুত্রবধূ কুইন কনসর্ট ক্যামিলা। রানীর বড় ছেলে বর্তমান রাজা চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা শাশুড়িকে স্মরণ করলেন তার হাসিমাখা মুখের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে।

শাশুড়ি রানী এলিজাবেথের সঙ্গে ক্যামিলা

আগামীকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত রানীর শেষকৃত্য। রানীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে মানুষের ঢল নেমেছে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের বড় বড় নেতারাও। আজ রোববার রানীর স্মরণে যুক্তরাজ্যবাসী পালন করেন এক মিনিট নীরবতা।

নীরবতা পালনের আগমুহূর্তে বিবিসির এক অনুষ্ঠানে কুইন কনসর্ট ক্যামিলা বলেন, পুরুষশাসিত বিশ্বের ইতিহাসে নিজেই নিজের অবদান খোদাই করে রেখে গেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে রানীর হাসিমুখ ও চোখের দ্যুতির প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা তুলে ধরেন রাজা চার্লসের স্ত্রী।

ক্যামিলা বলেন, রানীর হাসি সবসময় মনে থাকবে আমার। অবিস্মরণীয় সেই হাসি ভুলবো না। যখন তিনি হাসতেন, আলোকিত হয়ে ওঠতো তার পুরো মুখমণ্ডল। আর তার সেই বিস্ময়কর নীল চোখ... চিরকালই আমাদের জীবনের অংশ তিনি।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে যখন সিংহাসনে বসেন, তখন ক্যামিলার বয়স মাত্র চার বছর। বিষয়টি স্মরণ করে ক্যামিলা বলেন, বিশ্বে সে সময় প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না কোনো নারী। রানী ছাড়া ওই জায়গায় আর কাউকে মনে করতে পারছি না। আমি মনে করি, রানীই একমাত্র নারী, যিনি নিজের অবদান লিপিবদ্ধ করে গেছেন নিজেই।

দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটিশ সিংহাসনে থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন রানী এলিজাবেথ। চলতি বছর সিংহাসন আরোহণের প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন অনুষ্ঠানে রানী বলেছিলেন, তার মৃত্যুর পর সবাই যেন ছেলে চার্লস ও পুত্রবধূর সমর্থন জানায়। রানী তখন ঘোষণা করেছিলেন, বড় ছেলে চার্লস রাজা হওয়ার পর তার স্ত্রী ক্যামিলা হবেন ‘কুইন কনসর্ট’।

মূলত রানীর ওই ঘোষণায় চার্লস রাজা হলে রাজপরিবারে তার স্ত্রী ক্যামিলার উপাধি কী হবে তা নিয়ে বহু বছরের বিতর্কের অবসান ঘটে। ক্যামিলা চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী। ২০০৫ সালে চার্লসের সঙ্গে বিয়ে হয় ক্যামিলার।