ইউক্রেনে গণকবর: ক্রেমলিন বলছে, পুরোপুরি বানোয়াট-ভিত্তিহীন

রুশ সেনাদের কাছ থেকে গত সপ্তাহে কৌশলগত শহর ইজিয়াম পুনরুদ্ধারের পর সেখানকার জঙ্গলে একটি গণকবরে প্রায় ৪৫০টি কবর পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। তবে ক্রেমলিন বলছে, ইজিয়ামে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার খবরটি পুরোপুরি বানোয়াট। খবর আল জাজিরা ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে বলেছেন, কিয়েভের দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। মস্কো এই ঘটনার সত্য প্রকাশের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে।

পেসকভ বলেন, এর আগে বুচাতেও একই দৃশ্য তৈরি করেছিল ইউক্রেন। তারা দাবি করেছিল, রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থিত ওই শহর থেকে রুশ সেনা সদস্যরা চলে যাওয়ার পর সেখানকার রাস্তায় বেসামরিক লোকজনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। মস্কো সে সময়ের অভিযোগও অস্বীকার করেছিল। বুচাতে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

ইজিয়ামের জঙ্গলে আবিষ্কৃত গণকবর

সম্প্রতি ইউক্রেন বাহিনী খারকিভ অঞ্চলের বিশাল অংশ পুনরুদ্ধার করে। বলা হচ্ছে, এ সময় হাজার হাজার রাশিয়ান সৈন্য তাদের ট্যাঙ্ক ও গোলাবারুদ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতোমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরপরই জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেন।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণকবর থেকে উত্তোলিত ৯৯ শতাংশ মৃতদেহে অত্যাচার-নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। নিহতদের অনেকের হাত বাঁধা ছিল। এ ধরনের নির্যাতনের কারণে রাশিয়ান সেনাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে কিয়েভ।

এদিকে ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এনারগোটম মস্কোর সৈন্যদের বিরুদ্ধে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার জন্য অভিযোগ এনেছে।

সোমবার তারা এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, রাশিয়ান সেনাবাহিনী পিভডেনউক্রেনস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিল্প সাইটে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর ফলে পারমাণবিক চুল্লি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ হামলার জেরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভবনের একশরও বেশি জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সৌভাগ্যবশত পাওয়ার প্ল্যান্টের কোনো কর্মী আহত হননি।

এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি টেলিগ্রামে লেখেন, রাশিয়া পুরো বিশ্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই এটি বন্ধ করতে হবে।