এরদোয়ান: নিজেদের রক্ষায় ব্যর্থ হবে না তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান গ্রিসের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, গ্রিস যতই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে দুঃসাহস দেখাক, আমরা তুরস্ককে রক্ষা করতে প্রস্তুত। আমরা নিজেদের অধিকার ও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হব না। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেন, গ্রিসে যে কোনো দেশের সামরিক স্থাপনা তাদের জনগণেরই ক্ষতি করবে, আমাদের নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য এমন সময় আসলো, যখন মিডিলি ও সিসাম দ্বীপে গ্রিসের সামরিক যান মোতায়েনের ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। তুরস্কের অভিযোগ, সামরিক যান মোতায়েনের মাধ্যমে গ্রিস আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গ্রিসের বেআইনি কর্মকাণ্ডের জেরে তুরস্কে নিযুক্ত গ্রিস রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। তাকে এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে সামরিক যান সরিয়ে অঞ্চলটির অসামরিক মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। অপরদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে দুদেশের মধ্যে মতবিরোধ দূর করে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

গ্রিসের উস্কানি: এরদোয়ান বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, তুরস্কের কর্মকাণ্ড উস্কানিতে ভরা। এসব উস্কানির অর্থ কী, সে ব্যাপারে তুরস্ক ভালোভাবেই সচেতন। গ্রিসের রাজনৈতিক নেতারা তুরস্কের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। এজন্য তারা শক্তিশালী তুরস্কের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে।

গ্রিসের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করতে আমরা নিজেরাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, গ্রিস যতই উস্কানি দিক, তারা কখনও তুরস্কের সমান হতে পারবে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে এরদোয়ান বলেন, পুতিন ও জেলেনস্কির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। আমরা ইতোমধ্যে অনেকগুলো কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছি। বন্দি বিনিময়, দুপক্ষের সংলাপ কিংবা শস্য চুক্তির মতো বিষয়গুলোতে আমরা কূটনৈতিকভাবে সফল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর পরই কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে খাদ্য শস্য রপ্তানিতে ধস নামে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বিষয়টি লক্ষ্য করে সমাধানের পথে এগিয়ে যান। অবশেষে তিনি দুই পক্ষকে ইস্তাম্বুলে একত্রে বসিয়ে জাতিসংঘের উপস্থিতিতে শস্যচুক্তি সম্পাদন করেন।