ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব: জার্মানির ফুডব্যাংকে বাড়ছে ভিড়

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। জার্মানিও এর বাইরে নয়। বরং রাশিয়ার জ্বালানির ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল ইউরোপের এই দেশটি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বেশ জটিলতায় পড়ে গেছে। জানা গেছে, দেশটির বিভিন্ন ফুড ব্যাংকে বিশ লাখের বেশি লোক খাবারের জন্য ভিড় জমিয়েছে। খবর আনাদোলু।

জার্মানির একটি ফুড ব্যাংকের সামনে ভিড়

জার্মানির ন্যাশনাল টাফেল ডয়েচল্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, সব ফুড ব্যাংকের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। জ্বালানির উচ্চ দাম, মূল্যস্ফীতি ইত্যাদি কারণে জার্মানিতে বিশ লাখের বেশি মানুষ ফুড ব্যাংকগুলোর দ্বারস্থ হয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েশনের একজন মুখপাত্র ডাই ওয়েল্ট বলেছেন, ফুড ব্যাংকের খাদ্যের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। আগে কেবল দরিদ্র লোকেরা আসতো। তবে এখন এমন অনেক লোকও আসছে, যাদের চাকরি আছে। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যাওয়ায় ফুড ব্যাংকের লাইনে এভাবে ভিড় বাড়ছে।

ফুড ব্যাংক থেকে খাবার সংগ্রহ করছেন এক বয়স্ক নারী

ফুড ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন থেকে আসা অনেক শরণার্থীও এসব ফুড ব্যাংকে সাহায্যের আবেদন করেছে। দেশে ফুড ব্যাংকের মোট ৯৬০টি শাখা রয়েছে।

জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চের (ডিআইডাব্লিউ ) এক সমীক্ষা অনুসারে, ২০২০ সালে প্রায় ১১ লাখ জার্মান ফুড ব্যাংক থেকে সহায়তা নিয়েছিলেন। এসব ফুড ব্যাংকে যারা সাহায্য চাইছেন, তাদের তিন-চতুর্থাংশই বিভিন্ন ধরনের সহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। তাদের অনেকেই দারিদ্র্যের কারণে হুমকির সম্মুখীন এবং তাদের স্বাস্থ্য সমস্যাও রয়েছে। এখানে সাহায্য চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একক পিতামাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন সন্তানসহ দম্পতিও। সমীক্ষা অনুসারে ফুড ব্যাংকের সাহায্য নেওয়া মানুষের মধ্যে শিশুর সংখ্যা এক-চতুর্থাংশ।