পিয়ংইয়ংয়ের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলার চালানোর মহড়া হিসেবে তারা এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্মিলিত হামলা

পাঁচ বছর পর হঠাৎ করেই উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) জাপানের ওপর দিয়ে মধ্য-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয়। এর অংশ হিসেবেই দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জাপান সাগরে তাদের নিজস্ব মহড়া মঞ্চস্থ করেছে, যাতে তারা জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। সিউলের সামরিক বাহিনী বুধবার এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন, একটি ভার্চুয়াল লক্ষ্যবস্তুতে অবিকল আঘাত করার জন্য উভয় সামরিক বাহিনী দুটি স্বল্প-পাল্লার এটিএসিএমএস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

তবে সিউলের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ হয়েছে এবং সেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, এই মহড়ার লক্ষ্য হল উত্তর কোরিয়া উস্কানি দিলে জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের সামরিক সক্ষমতা আছে কি না তা নিশ্চিত করা। আমরা কিম জং উনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই বসতে রাজি আছি। আমরা কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ দেখতে চাই। কিন্তু তিনি সেই দিকে অগ্রসর হতে চাননি। বরং সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তিনি বিপরীত দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, যা নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের লঙ্ঘন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কঠোর ভাষায় উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা করেছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল উত্তর কোরিয়ার এক কার্যকলাপকে উস্কানি বলে আখ্যা দিয়ে কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

গত মঙ্গলবারের পরীক্ষাটি ছিল ১০ দিনের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের পঞ্চম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর বৃহৎ মাপের মহড়া চালানোর মাত্র কয়েকদিন পর এটি এসেছে। এই ধরনের মহড়ায় উত্তর কোরিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে মন্তব্য করে, তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।