জেলেনস্কিকে কাদিরভের হুঁশিয়ারি: পশ্চিমের দিকে না তাকিয়ে পালিয়ে যান

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে বলেছেন, ‘এখনও সময় আছে পালিয়ে যান। পশ্চিমের দিকে না তাকিয়েই পালিয়ে যান।’ খবর আলজাজিরা।

রমজান কাদিরভ

জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে এক টেলিগ্রাম পোস্টে রমজান কাদিরভ লেখেন, আট বছর ধরে আপনি বেসামরিক লোকদের বোমা মারতে পারেন, শহরগুলোর অবকাঠামো ধ্বংস করতে পারেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালাতে পারেন, ব্রিজ উড়িয়ে দিতে পারেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন দিতে পারেন, কিন্তু যখন এটি আপনার মাথায় এসে পড়ে, তখন এর জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়ে পড়ে!

ইউক্রেনে হামলা আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী রুশ-সমর্থিত অঞ্চল ডোনেস্ক ও লুহানস্কের জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইউক্রেন সরকার। কাদিরভও একই অভিযোগে জেলেনস্কিকে অভিযুক্ত করেন। পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার চালানোর জন্য কিয়েভের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যে অভিযোগ, সেটিও উল্লেখ করেন চেচেন নেতা।

রুশ হামলায় পুড়ছে কিয়েভ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ্য করে কাদিরভ আরও বলেন, জেলেনস্কি, আমরা আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। আসলে রাশিয়া এখনও শুরুই করেনি, তাই অহেতুক অভিযোগ করা বন্ধ করুন এবং তারা আপনাকে পাওয়ার আগেই পালিয়ে যান। আপনি দৌড়ান। পশ্চিমাদের দিকে না তাকিয়েই আপনি দৌড়ান।

এর আগেও কাদিরভ বিভিন্ন সময় পুতিনকে অভিযান আরো তীব্র করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, রুশ বাহিনীর অগ্রগতিতে তিনি সন্তুষ্ট নন। তবে সোমবারের হামলার পর তিনি বলেছেন, বিশেষ সামরিক অভিযান নিয়ে এখন তিনি ১০০ শতাংশ সন্তুষ্ট।

গত শনিবার রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগকারী কার্চ সেতুতে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে এর সড়ক অংশের একাংশ ধসে যায় এবং রেল সেতুরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। ইউক্রেন এতে নিজেদের দায় স্বীকার না করলেও বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। এর পরদিনই রুশ তদন্তে এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করা হয় এবং একযোগে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে তীব্র হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।