কঙ্গোয় ১২ গ্রামবাসীকে কুপিয়ে হত্যা

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোয় সাধারণ মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তারা ১২ গ্রামবাসীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ইতুরি প্রদেশের ম্যাসাম গ্রামে গতকাল শুক্রবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

কঙ্গোয় ১২ গ্রামবাসীকে কুপিয়ে হত্যা

স্থানীয় সিভিল সোসাইটির নেতা গুস্তাভ কাকানি এএফপিকে বলেন, সন্দেহভাজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ রয়েছে। তাদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কয়েকজনকে শিরশ্ছেদ আর অন্যদের বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাধারণ মানুষের ওপর অস্ত্রধারীরা অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।

খবরে বলা হয়, হত্যা করার আগে অস্ত্রধারীরা ওইসব লোকদের ওপর চরম নির্যাতন করে। শুক্রবার ভোরে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ইরুমু অঞ্চলের মিলিটারি কর্মকর্তা কর্নেল সিরো সিমবা জানান, ১২টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। অপরাধীরা সশস্ত্র গ্রুপের সাথে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেদের আধিপত্য কায়েমে তারা হত্যার আশ্রয় নিচ্ছে।

অঞ্চলটি সংঘাত কবলিত। এখানকার অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা অ্যালাইড ডেমেক্রেটিক ফোর্সের (এডিএফ) হয়ে কাজ করে। এর আগে এডিএফ আইএস সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। আইএস এডিএফকে তাদের মধ্য আফ্রিকান সহযোগী সংগঠন হিসেবে মনে করে। আইএসের নির্দেশনায় গোষ্ঠীটি বিভিন্ন স্থাপনা টার্গেট করে হামলা করে।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ১২০টি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়। এদের মধ্যে এডিএফ সবচেয়ে দুর্ধর্ষ। সন্ত্রাসী গ্রুপটির বিরুদ্ধে কঙ্গোর মানুষকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তার প্রতিবেশী দেশ উগান্ডায় বোমা হামলাও চালায় মাঝে মাঝে। কঙ্গোর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বারবার হামলা চালায়।

চলতি বছরে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসী চক্র দানা বেঁধে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সরকারি সেনাবাহিনী বা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করছে না।