২০৩০ সালের মধ্যেই ক্যান্সারের টিকা আনছে বায়োএনটেক

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই মরণব্যাধী ক্যান্সারের টিকা আনতে যাচ্ছে জার্মানির ভ্যাকসিন ও ওষুধ উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। এমন আশার বানী শুনিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকার সফল আবিষ্কারক বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী দম্পতি উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি। খবর গার্ডিয়ান।

বায়োএনটেকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী দম্পতি উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি

বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালে মহামারি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে অতিদ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক মিলেমিশে তৈরি করে করোনার ভ্যাকসিন। যুগান্তকারী করোনাভাইরাস টিকা তৈরিতে নেতৃত্ব দেন সাহিন-তুরেসি দম্পতি। তারা এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করে টিকা তৈরি করেন।

সাহিন-তুরেসি দম্পতি বলেন, করোনা মহামারি রুখতে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা আবিষ্কার এবং সাফল্যই আমাদের ক্যান্সারের ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ফিরিয়ে এনেছে। গবেষণার অগ্রগতি আশা সৃষ্টি করেছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সহজলভ্য হবে ক্যান্সারের টিকা।

বিবিসির সানডে অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান দম্পতি বলেন, করোনার টিকা উদ্ভাবনে ব্যবহৃত এমআরএনএ প্রযুক্তিই তাদের ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারে সহযোগিতা করছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ২০৩০ সালের আগেই ক্যান্সারের টিকা হয়ে যাবে।

ওজলেম তুরেসি বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করতে গিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা ক্যান্সারের টিকা তৈরির কাজকে আরও গতিশীল করবে। কীভাবে আরও ভালো ও দ্রুত টিকা বানানো যায়, সেটি আমরা শিখেছি।

বায়োএনটেক গত কয়েক দশক ধরেই ক্যান্সারের টিকা তৈরির জন্য কাজ করছে। তবে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল তারা। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটি ফের ক্যান্সারের টিকায় মনোনিবেশ করেছে। এরইমধ্যে ক্যান্সারের একাধিক টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে বায়োএনটেক।