পারমাণবিক মহড়া শুরু করছে ন্যাটো, আলোচনায় রাশিয়াও

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। জোটটির এক ডজনের বেশি সদস্য দেশ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে এক পারমাণবিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। মহড়াটি অনুষ্ঠিত হবে বেলজিয়ামে। জোটটির ৩০ সদস্যের ১৪টি দেশ এই মহড়ায় অংশ নেবে। খবর দ্য নিউজ উইক।

ফাইল ছবি

খবরে বলা হচ্ছে, ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামের এই মহড়ায় যুদ্ধবিমান, নজরদারি ও রিফুয়েলিং প্লেনসহ প্রায় ৬০টি বিমান অংশ নেবে। মহড়ার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। মহড়ায় অংশ নেবে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

গম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিন্টে ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকির পর ন্যাটোর এই পারমাণবিক মহড়া আয়োজন করতে যাচ্ছে। দখলীয় অঞ্চলে কিয়েভ বাহিনীর পুনরুদ্ধার অভিযান জোরদার হলে পুতিন ওই হুমকি দিয়েছিলেন।

এদিকে রাশিয়াও চলতি মাসের শেষ দিকে পারমাণবিক মহড়া চালাবে বলে খবরে বলা হচ্ছে। সোমবার কিয়েভে ‘কামিকাজে’ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর পরই ইউক্রেনের কর্মকর্তারা পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছে।

সোমবার সর্বশেষ হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন ‘কামিকাজে’ যদি রাশিয়া ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ইইউ বিষয়টি তদন্ত করবে এবং কিয়েভবে নতুন করে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহয়াতা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে এ পর্যন্ত বহু ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে দুদেশ। রাশিয়া ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক দখল করে নিয়েছে। দখলীয় অঞ্চলগুলো এখন রুশ ফেডারেশনের অংশ।

শুরু থেকেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে আসছেন, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ পরিচালিত হচ্ছে। ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে রাশিয়ার হাজার হাজার সেনাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।