প্রশ্ন ফাঁসে ১০ বছর কারাদণ্ডের আইন আসছে

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ভুয়া পরিচয়ে পরীক্ষায় অংশ নিলে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) অধ্যাদেশ ১৯৭৭ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদে সোমবার (৩১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি বিল তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে তোলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিদ্যমান আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাজার বিধান ছিল না। বিলে সেটি যুক্ত করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কমিশন প্রজাতন্ত্রের জনবল নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান সাপেক্ষে পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতি ও শর্তাবলী নির্ধারণ করতে পারবে। কোনও ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করলে অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনও ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশ নিলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এর শাস্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পরীক্ষার জন্য প্রণীত কোনো প্রশ্ন লেখা বা ছাপানো কাগজ বা তথ্য, পরীক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে বলে মিথ্যা ধারণা তৈরি করে এমন কোনো প্রশ্ন লেখা কাগজ বা তথ্য, অথবা পরীক্ষার জন্য প্রণীত প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এমন প্রশ্ন লেখা কাগজ বা তথ্য যেকোনো উপায়ে ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণ করলে সেটি দণ্ডণীয় অপরাধ বিবেচিত হবে। এ অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। এই অপরাধ আমলযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য হবে।

বিলের বিধান অনুযায়ী, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি ছাড়া অন্য সব অপরাধের সাজা মোবাইল কোর্টের আওতাভুক্ত হবে।