ব্রিটিশ দূতাবাস নিয়ে সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ফিলিস্তিনপন্থীরা

ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আর ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী গ্রুপগুলো।

তেল আবিবে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস

২ নভেম্বর, বুধবার ঋষি সুনাকের নতুন সরকার দ্য নিউ আরবকে বলেছে, তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এর আগে সুনাকের পূর্বসূরি লিজ ট্রাস বলেছিলেন, তিনি দূতাবাস সরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করছেন। তার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই পরিবর্তন ঘটলো।

কাউন্সিল ফর আরব-ব্রিটিশ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (সিএএবিইউ) এর ক্রিস ডয়েল বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে দূতাবাস সরানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা অপরিণামদর্শী ছিল।

ক্রিস ডয়েল জানান, সরকারের ফ্রেন্ডস অফ ইসরায়েলের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর কথা শোনা উচিত ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যা দেখতে চাই তা হল, সরকার যাতে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সক্রিয় অবস্থান নিচ্ছে। বিশেষ করে এখন যে অপরাধ চলছে। আমরা চাই ব্রিটিশ সরকার যেন ইসরায়েলি অপরাধ চোখ বন্ধ করে সমর্থন না করুক। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করুক।'  

ফিলিস্তিনপন্থী আরেক গ্রুপ ফ্রেন্ডস অব আল আকসাও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আহ্বান করেছে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি।

এদিকে সাউথওয়ার্কের বিশপ রেভারেন্ড ক্রিস্টোফার চেসুন টুইটারে লিখেছেন, ‘আজ শুনে খুশি হলাম যে জেরুজালেমের আন্তর্জাতিক মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকারের ব্রিটিশ দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই।'  তিনি জেরুজালেমে ব্রিটিশ দূতাবাস স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি ক্যান্টারবারির আর্চবিশপও ব্রিটিশ দূতাবাসের সম্ভাব্য স্থানান্তরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। যদিও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।

সূত্র: দ্য নিউ আরব