রিপোর্ট: বেশিরভাগ নারী সাংবাদিক অনলাইনে সহিংসতার শিকার

বিশ্বের বেশিরভাগ নারী সংবাদিক অনলাইনে অপব্যবহার ও সহিংসতার শিকার। নারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অনলাইন সহিংসতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় বৈশ্বিক হুমকি। অনলাইন হুমকি থেকে নারী সাংবাদিকরা হত্যারও শিকার হচ্ছে। নতুন একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। দ্য গার্ডিয়ান।

বেশিরভাগ নারী সাংবাদিক অনলাইনে সহিংসতার শিকার

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্ট (আইসিএফজে) এবং শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি ১৫টি দেশের ১ হাজারের বেশি নারী সাংবাদিকের সাক্ষাতকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা চর্চাকারীদের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

নারী সাংবাদিকদের প্রতি অনলাইন সহিংসতা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার, সংবাদ শিল্প এবং জায়ান্ট টেক কর্পোরেশনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রতিবেদনটিতে টেকসই অনলাইন সহিংসতার মুখে নারী সাংবাদিকরা যে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইন পরিবেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ক্ষেত্র মূলত যৌনতা সংক্রান্ত এবং পিতৃতান্ত্রিক নিয়মগুলোকে আক্রমণাত্মকভাবে শক্তিশালী করার মাধ্যমে অফলাইনে সহিংসতা চলছে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন পুরষ্কারপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক ক্যারোল ক্যাডওয়ালাদর।

তিনি উন্মোচন করেছেন, কিভাবে লাখ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা গোপনে সংগ্রহ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য মূলত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন।

এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে ক্যাডওয়ালাদর ১০ হাজার ৪০০টি অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন। এগুলো ছিল মূলত লিঙ্গভিত্তিক, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত দিক থেকে নারী সাংবাদিককে তুচ্ছ, অপমান এবং অসম্মান করা হয়েছে।