'২৮ দিনের জন্য ধর্ম, প্রথা, ঐতিহ্য পাল্টে ফেলব না'

কাতারে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২। চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছে আয়োজক দেশ কাতার। জবাবে দেশটিতে বসবাসকারী একজন মিশরীয় ফুটবলার বলেছেন, টুর্নামেন্টের সময় আয়োজক দেশের ধর্ম ও রীতিনীতিকে সম্মান করা উচিত। কারণ আমরা এ কদিনের জন্য আমাদের ধর্ম, প্রথা, ঐতিহ্য পরিবর্তন করব না। আপনাদেরই আমাদের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

মোহাম্মদ আবুতরিকা

কাতারি বিএন স্পোর্টস চ্যানেলের বিশ্লেষক হিসেবে কর্মরত সাবেক মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ আবুতরিকা সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এই ২৮ দিনের জন্য আমাদের ধর্ম, আমাদের প্রথা ও আমাদের ঐতিহ্য পরিবর্তন করব না। বরং আপনাকে আমাদের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং আমাদের দেশের আইনকে সম্মান করতে হবে।

আবুতরিকা বলেন, আমি ছয় বছর ধরে কাতারে বসবাস করেছি। আমি আমার দেশ মিশরকে নিয়ে যেমন গর্বিত, তেমনি কাতারকে নিয়েও আমি গর্বিত।

ফিফা বিশ্বকাপ

কাতারের সমালোচনার জবাবে সাবেক মিশরীয় এই ফুটবলার বলেন, পশ্চিমা প্রচারণা আমাদের ভীত করতে পারবে না। পশ্চিমারা কাতারের শত্রু এবং কাতারের প্রতি তাদের অনেক ঘৃণা ও হিংসা। অথচ এই কাতার আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অফুরন্ত সম্মান ও ভালবাসা পেয়েছে। তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে কাতার সব আরব দেশের সমর্থন পেয়েছে।

বিশ্বকাপের ভেন্যু কাতারের বিরুদ্ধে সমালোচনা সাধারণত কয়েকটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো কাতারেও সমকামিতা একটি ফৌজদারি অপরাধ। দেশটির আইনানুসারে অ্যালকোহলও সবার জন্য অবাধ নয়। এসব কারণে অনেক দর্শক-খেলোয়াড় বিশ্বকাপ উপভোগের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত। এছাড়া মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণে অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

এ বিষয়ে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিওভান্নি ইনফান্তিনো স্কাই নিউজকে বলেন, আমরা জানি ফুটবল শূন্যে বাস করে না এবং আমরা সবাই জানি, সারা বিশ্বে রাজনৈতিক অনেক চ্যালেঞ্জ ও অসুবিধা রয়েছে। তবে অনুগ্রহ করে ফুটবলের মধ্যে কোনো আদর্শিক বা রাজনৈতিক যুদ্ধ টেনে আনবেন না।