আ. লীগে সংঘর্ষ: মাথায় চেয়ার ধরে বাঁচলেন নেতারা

সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৪ নভেম্বর, সোমবার দুপুরে দিরাই উপজেলা বিএডিসি মাঠে অনুষ্ঠিত ত্রি বার্ষিকী সম্মেলনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ পাথর ছোড়া শুরু করলে মাথায় চেয়ার ধরে নিজেদের রক্ষা করেন মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যরা। এ সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

মাথায় চেয়ার রেখে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন নেতারা

আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন শুরু পর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়ার নেতৃত্বে এক দল নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল করে সম্মেলন স্থলে আসেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে ইট পাটকেল ছোড়া শুরু করেন এক পক্ষ। এসময় নেতারা প্রাণে বাঁচতে মাথায় চেয়ার ধরে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

এসময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কার্যকর নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, সুনামগঞ্জের দুই সংসদ সদস্য জয়া সেন ও মুহিবুর রহমান মানিক, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমনসহ অন্য নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ঘণ্টাখানেক পর আবার সম্মেলন শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন বলেন, সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল এক পক্ষ। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আজকের ঘটনা স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ মিয়ার পক্ষের লোকজনকে বিএনপির এজেন্ট দাবি করে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেছেন, সম্মেলনে যারা হামলা করেছে, তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়, তারা বিএনপির এজেন্ট।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ বলেন, সম্মেলন শুরু হলে আওয়ামী লীগের এক পক্ষ সম্মেলনে আসলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এ সময় এক পক্ষ মঞ্চের দিকে পাথর ছোড়া শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।