ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ!

রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্রের যোগান দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভকে সামরিক সাহায্য হিসেবে যেসব অস্ত্র ও প্রযুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, সেগুলোর যোগানের স্বল্পতায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

যুদ্ধের শুরু থেকে প্রচুর অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র

এ প্রসঙ্গে তিন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনকে সামরিক সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে ক্রমহ্রাসমান অস্ত্রের মজুদ এবং চাহিদা মোকাবেলায় সামরিক শিল্পের সক্ষমতার ঘাটতি। কারণ ওয়াশিংটন কিয়েভে যে সব অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছিল, সেগুলোর খুব বেশি মজুদ অবশিষ্ট নেই।

সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল এবং স্টিংগার এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের মজুদ নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। কিছু কর্মকর্তা হার্মস অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল, জিএমএলআরএস সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল এবং জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক সিস্টেমের মতো অস্ত্র উৎপাদন নিয়েও চিন্তিত।

কামানের গোলা ছুড়ছেন ইউক্রেনের এক সৈন্য

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, এ অস্ত্রের স্বল্পতার সাথে জাতীয় নিরাপত্তার ঘাটতির কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ইউক্রেনকে যে অস্ত্রগুলো দেওয়া হচ্ছে, তা পেন্টাগনের রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ থেকে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব নিরাপত্তা কোনোভাবেই হুমকির মুখে পড়বে না। এক কর্মকর্তা জানান, মার্কিন অস্ত্রের ঘাটতির বিষয়টি আসলে আপেক্ষিক। কারণ বিষয়টি নির্ভর করে পেন্টাগন ইউক্রেনকে কতটা অস্ত্র দিতে চাইছে তার ওপর।

তবে মার্কিন সামরিক শিল্পখাত যেখানে চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সংগ্রাম করছে, সেখানে ইউরোপীয় কিছু দেশ বর্ধিত এসব চাহিদা পূরণই করতে পারছে না। ফলে এসব দেশ আরও বড় ধরনের সমস্যায় পড়ছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নভেম্বরের প্রথম দিকে কিয়েভকে এক হাজার ৪০০টি স্টিংগার, আট হাজার ৫০০টি জ্যাভেলিন, ১৪২টি ১৫৫ মিমি হাউইটজার এবং নয় লাখ তিন হাজার ১৫৫ মিমি রাউন্ড গোলাবারুদ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভকে বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে। এ সহায়তার বিষয়ে মস্কো বারবার সতর্ক করে আসছিল, অস্ত্রের এসব চালান সংঘাতকে আরও দীর্ঘায়িত করবে।