ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম রফিকুল ইসলাম নয়ন। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বিএনপির আরও পাঁচ নেতাকর্মী। কুমিল্লায় সমাবেশ উপলক্ষে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লায় আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ হবে। বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে লিফলেট বিতরণ করতে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি মো. সাইদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন জায়গায় মিছিলসহ লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ সেখানে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়।

এ সময় পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়ন পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হন। নয়নকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান নয়ন।

একই ঘটনায় পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ইমান আলী গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির আরও তিন নেতাকর্মী আহত হন।

এ বিষয়ে সাইদুজ্জামান কামাল দাবি করেন, শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ করছিলাম আমরা। বিনা উসকানিতে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে। পুলিশের গুলিতে রফিকুল ইসলাম নয়ন মারা গেছেন। ইমান আলীর অবস্থাও গুরুতর।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহীন দাবি করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন তারা। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে একজনের গায়ে গুলি লেগে আহত হন। আহত ব্যক্তিকে ঢাকায় পাঠানোর পর তিনি মারা যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।