ইরানের মাহাবাদে বড় ধরনের দমন-পীড়নের আশঙ্কা

ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত শহর মাহাবাদে বড় ধরনের দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এই অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে সরকারবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইরানের কুর্দি শহর মাহাবাদে বড় ধরনের দমন-পীড়নের আশঙ্কা

রোববার নরওয়েভিত্তিক হেনগাও রাইটস গ্রুপ জানিয়েছে, পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের প্রধান শহর উর্মিয়া থেকে সশস্ত্র সৈন্যদের মাহাবাদে পাঠানো হয়েছে। হেনগাও টুইটারে লিখেছে, মাহাবাদের আবাসিক এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীটি শহরটির ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। বিক্ষোভ দমন করার জন্য ইরান রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে গ্রুপটি। 

নরওয়েভিত্তিক আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) শনি এবং রোববার ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে জানিয়েছে, শহরের চারপাশে বন্দুকযুদ্ধের আওয়াজ পাওয়া গেছে। আইএইচআর এর পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে এবং মেশিনগানের গুলি শোনা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের নিহত বা আহত হওয়ার অসমর্থিত প্রতিবেদনও পাওয়া গেছে। 

এদিকে ইরানের আধা সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে নিরাপত্তা বাহিনী ও সামরিক কর্মকর্তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং রাস্তা অবরোধ করে শহরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য দাঙ্গাকারীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তাসনিম নিউজ জানায়, বেশিরভাগ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কেউ নিহত হয়নি। শহরে নিরাপত্তা ফিরে এসেছে। 

উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা গেলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ইরান। বিশেষ করে আমিনির নিজের শহর সাকেজসহ কুর্দি অধ্যুষিত অন্যান্য শহরগুলিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। হিজাববিরোধী বিক্ষোভটি বর্তমানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কুর্দিরা ইরানের প্রধান সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির অন্যতম। শিয়া অধ্যুষিত ইরানে কুর্দি জনগোষ্ঠী সুন্নি ইসলামকে মেনে চলে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব