ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার হুমকির মুখে!

ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মানবাধিকার হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক সংস্থা ইউএস কমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। ২২ নভেম্বর, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

ফাইল ছবি

ইউএসসিআইআরএফ হলো মার্কিন কংগ্রেস নিযুক্ত একটি সংস্থা। যদিও এর সুপারিশগুলি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট দ্বারা প্রয়োগ করা বাধ্যতামূলক নয়। চলতি বছরের শুরুতে চলমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার জন্য ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ দিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তা উপেক্ষা করেছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার কোনো উন্নতি ঘটেনি। এতে বলা হয়েছে, ‘চলতি বছরেও ভারতের জাতীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। ধর্মান্তরকরণ, আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক এবং গোহত্যাকে লক্ষ্য করে আইনগুলি করা হয়েছে। মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত এবং আদিবাসীদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।'   

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় সরকার সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে দমন করা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং যারা তাদের পক্ষে সমর্থন করছে তাদের ক্ষেত্রে এটি করা হচ্ছে। নজরদারি, হয়রানি, সম্পত্তি ধ্বংস, নির্বিচারে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে তাদের আটক করা হচ্ছে।' 

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে ইউএসসিআইআরএফ ভারতকে নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। এটিকে ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট বলে উল্লেখ করে ভারত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস আক্রমণের ঘটনা বেড়ে যায়। গরু খাওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন মুসলিমকে পিটিয়ে মেরেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এছাড়াও নাগরিকত্ব আইনসহ বিভিন্নভাবে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে মোদির সরকার।

সূত্র: দ্য হিন্দু