চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ককে আমরা গুরুত্ব দেই। দেশটির সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব চীন মূল্যায়ন করে। কোরীয় উপদ্বীপে উচ্চতর সামরিক হুমকির মধ্যে রয়েছে দেশটি। নতুন পরিস্থিতিতে দেশটির সাথে আছে চীন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই খবর দিয়েছে। ব্লুমবার্গের খবর।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং ইন
শি জিনপিং আরও বলেন, আমি চাই চীন-উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হোক। উত্তর কোরিয়ার প্রতি যে কোনো সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই। বিশ্ব, সময় ও ইতিহাস এখন একটি অভূতপূর্ব উপায়ে পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন পরিস্থিতিতে চীন উত্তর কোরিয়ার সাথে বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। একসাথে (দুই দেশ) জনগণের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে চাই।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এরপর থেকেই পুরো বিশ্ব উত্তর কোরিয়ার দিকে রক্তচক্ষু দিয়েছে। এমনকি জাতিসংঘও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদারের হুমকি দিয়েছে। তবে জাতিসংঘকে একচোখা অভিযোগ দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মিলে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে। এই সামরিক মহড়ার জবাবেই মূলত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে সাগরে আঘাত হানে।
২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির এমন পদক্ষেপে ভীষণ ক্ষেপেছে জি-৭ নেতারাও। তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। একই দাবি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল, চীন-রাশিয়ার আসকারা পেয়ে উত্তর কোরিয়া এমন সাহস দেখাচ্ছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচিতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করছে। এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিমের বক্তব্য ছিল, আমরা আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখতে বদ্ধপরিকর।