তেল পাইপলাইনে ইউক্রেনের হামলা, অরবানকে ট্রাম্প বললেন ‘আমি খুবই ক্ষুব্ধ’

ইউক্রেন হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি তেল সরবরাহকারী পাইপলাইনে হামলা চালিয়েছে— হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কাছ থেকে চিঠিতে এ কথা জানার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে। হাঙ্গেরির দৈনিক ম্যাগয়ার নেমজেটের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ আগস্ট দ্রুজবা পাইপলাইনে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পর অরবান ট্রাম্পকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, এই হামলার কারণে হাঙ্গেরি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, কারণ অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য দেশটির কাছে আর কোনো বিকল্প পথ নেই।

চিঠিতে অরবান বলেন, ‘হাঙ্গেরি ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ ও পেট্রোল দিয়ে সহায়তা করে, বিনিময়ে তারা আমাদের সরবরাহকারী পাইপলাইনে বোমা ফেলছে। এটি অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ একটি পদক্ষেপ!’ চিঠিতে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় ‘সর্বাত্মক সাফল্য’ কামনা করেন।

ট্রাম্প এর জবাবে হাতে লেখা একটি নোটে অরবানকে বলেন, ‘আমি এটা শুনতে পছন্দ করছি না। আমি এ বিষয়ে খুবই ক্ষুব্ধ। স্লোভাকিয়াকে বলুন। আপনি আমার মহান বন্ধু।’

ট্রাম্প প্রায়শই হাঙ্গেরির দীর্ঘদিনের এই নেতার শাসনের প্রশংসা করেন এবং তিনি অরবানের একজন একনিষ্ঠ অনুরাগী হিসেবে পরিচিত।

পরে অরবান এই চিঠি বিনিময়ের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইউরোপের জ্বালানি অবকাঠামোতে ইউক্রেনের বারবার হামলার পর তিনি ট্রাম্পের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন।

হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলার কারণে অন্তত পাঁচ দিনের জন্য তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজার্তো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ব্রাসেলসকে বুঝতে হবে: তারা ইউরোপীয় কমিশন, ইউক্রেনীয় কমিশন নয়!’

দ্রুজবা (বন্ধুত্ব) পাইপলাইনটি ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে মধ্য ইউরোপে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল বহন করে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে।