জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ৫০ কোটি ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন দাবি করেছে একটি জনপ্রিয় হ্যাকিং ফোরাম। বলা হচ্ছে, এসব তথ্য ইতোমধ্যেই অনলাইনে বিক্রি করেছে হ্যাকার।
৩৮ লাখ বাংলাদেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস
একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হ্যাকিং কমিউনিটি ফোরামে একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করে দাবি করেন, ৪৮৭ মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বরের ডেটাবেস বিক্রি করা হচ্ছে।
যেখানে রয়েছে ৮৪টি দেশের ব্যবহারকারীর ডেটা। অভিনেতা দাবি করেন, ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ব্যবহারকারীর তথ্যও রয়েছে এখানে।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি তথ্য ফাঁস হয়েছে মিশরের, সংখ্যাটি প্রায় ৪৫ মিলিয়ন। এরপরই রয়েছে ইতালি, দেশটির ৩৫ মিলিয়ন তথ্য ফাঁস হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবের ২৯ মিলিয়ন, ফ্রান্সের ২০ মিলিয়ন, তুরস্কের ২০ মিলিয়ন, রাশিয়ার ১০ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্যের ১১ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছ। বাদ পড়েনি বাংলাদেশও, ৩৮ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে এই তালিকায়।
এ বিষয়ে সাইবার নিউজ জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের তথ্য কিনতে খরচ হচ্ছে ৭ হাজার মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্যের ১১ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য কেনা যাচ্ছে ২৫০০ মার্কিন ডলারে।
হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ডেটা ফাঁস হওয়ার খবর এই প্রথম নয়। আগেও একাধিকবার তথ্য ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
হোয়াটসঅ্যাপের সব চ্যাট ও কল এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। তাই ফোন নম্বর ফাঁস হলেও চ্যাটের কথোপকথন হ্যাকারদের হাতে পৌঁছায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। ডেটা ফাঁস হওয়া নিয়ে এখনও হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।